শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতি লেখক সংঘের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
এক্ষেত্রে ব্যক্তি জীবনে রাজতন্ত্রের ধারক হলেও জাঁ বালজার প্রথাবিরোধী লেখা, ব্যক্তিজীবনে ‘শুদ্ধতম’ মানুষ না হলেও মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখালেখির প্রসঙ্গ টানেন ইংরেজি সাহিত্যের এই অধ্যাপক।
“মানুষের সেই আকাঙ্ক্ষা, সেই স্বপ্ন দৃশ্যমান বাস্তবতার চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। সেটি মানুষকে পরিচালিত করে।”
অনুষ্ঠানে সর্বভারতীয় প্রগতি লেখক সংঘের সংগঠক কবি সঙ্গীতা দেওয়ানজি দাস বলেন, “আমরা যেহেতু সামাজিক জীব তাই আমাদের মানবিক রূপগুলোকে উজ্জীবিত করতে হবে।”
বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে এই ভারতীয় কবি বলেন, “আমাদের মধ্যে বেড়া আছে, সেটা প্রশাসনিক বেড়া। সেই বেড়া কি আমরা মানি? মানি না। মসজিদের আজান আর মন্দিরের ধ্বনি সেই বেড়া পার হয়ে এদিক-ওদিক ছড়িয়ে পড়ছে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে প্রগতি লেখক সংঘের তৃতীয় এই জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে টিএসসির স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কবি মোহাম্মদ রফিক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শেষে বের করা হয় একটি শোভাযাত্রা। স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বর থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উচ্চতর মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে পৌঁছে শেষ হয়।
প্রগতি লেখক সংঘের সভাপতি কবি গোলাম কিবরিয়া পিনুর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অধিবেশনে জাতীয় সম্মেলন উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান হীরা স্বাগত বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংঘের সংগঠক অভিনু কিবরিয়া ইসলাম। অন্যদের মধ্যে সংঘের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত টিপু বক্তব্য দেন।