বুধবার নগর ভবনে রাজধানীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে গঠিত কমিটির বৈঠক শেষে এই তথ্য দেন তিনি।
মেয়র বলেন, “কোম্পানির মাধ্যমে রুট র্যাশনালাইজড করে সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য কিছু সময় প্রয়োজন। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে শৃঙ্খলা ফেরানোর অংশ হিসেবে আপাতত বিআরটিসির বাস দিয়ে এই সেবা চালু করতে চাই।
“এই সময়ের মধ্যে আমরা নাগরিকদের মধ্যে কী করতে পারি, তা নিয়ে আলোচনা করেছি। বিআরটিসির ৬০০ বাস ইতোমধ্যে আমদানির সব প্রক্রিয়া শেষে তা গ্রহণ করার পর্যায়ে রয়েছে। এসব বাসের মধ্যে সাড়ে চারশটি বাস ঢাকা শহরে পরিচালনা করা হবে। এর মধ্যে এসি, নন-এসি বাস রয়েছে।”
প্রথম ধাপে ধানমণ্ডি, সায়েন্সল্যাব ও নিউমার্কেটকেন্দ্রিক একটি, মতিঝিল কেন্দ্রিকএকটি এবং উত্তরাকেন্দ্রিক একটি সার্কুলার বাস সেবা চালু করা হবে জানিয়ে সাঈদ খোকন বলেন, ওই এলাকাগুলোতে এসব বাস চক্রাকারে ঘুরে যাত্রীদের সেবা দেবে।
“আমরা আশা করছি, আগামী এপ্রিলের শুরু থেকে জুনের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ করতে পারব। এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি তা উদ্বোধন করতে চাই।”
মেয়র জানান, যেসব সড়কে এই বাস সেবা চালু করা হবে সেগুলোতে রিকশাসহ অযান্ত্রিক যান নিয়ন্ত্রণে ঢাকা মহানগর পুলিশ সহায়তা করবে।
“আমাদের এখানে অনেক অদক্ষ চালক রয়েছে। আমরা একটি প্রকল্পের মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চালককে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে চাই। আগামী ছয় মাসের মধ্যে কতজন চালককে প্রশিক্ষণ দিব, তা আগামী বৈঠকে আমরা ঠিক করব।”
মেয়র বলেন, ঢাকায় বাস রুট ‘র্যাশনালাইজেশনের’ পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে কমপক্ষে দুই বছর সময় লাগবে। এই দুই বছর কমিটি বসে থাকবে না। গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে।
বৈঠকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ‘বাস রুট র্যাশনালাইজেশন’ কাজে গতি আনতে একটি নির্ধারিত সময় ঠিক করে নেওয়ার পরামর্শ দেন।
পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “গুলশানে ঢাকা চাকা সার্ভিস সফল হয়েছে। সেই আদলে মতিঝিল, নিউ মার্কেট, উত্তরায় শুরু করা গেলে এটা অনেক বড় কাজ হবে বলে আমি মনে করি। আমরা গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনার যে কাজ করছি তা ফিরে আসবে।”
সভায় ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ড. সালেহ আহমেদ, বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়া, রাজউকের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ওসমান আলী, ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মীর রেজাউল আলম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।