ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমকে বুধবারের মধ্যে নথি পাঠাতে বলা হয়েছে।
মামলাটির তদন্ত প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে শহিদুল আলমের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাই কোর্ট বেঞ্চ বুধবার এই আদেশ দেয়।
গত ৩ মার্চ হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদন করেন শহিদুল আলম।
আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ, সারা হোসেন, মো. আসাদুজ্জামান।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।
পরে সারা হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের আবেদনটির শুনানির করতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল নথি না আসায় সময় আবেদন করেন। তখন আদালত ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে থাকা মামলার নথি তলব করেন। আজকের মধ্যে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমকে এই নথি পাঠাতে বলা হয়েছে।”
রিট আবেদনটি আদালত বৃহস্পতিবার শুনানির জন্য রেখেছে বলে জানান এই আইনজীবী।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত গতবছরের ৩ ও ৪ অগাস্ট জিগাতলা এলাকায় সংঘর্ষের বিষয়ে কথা বলতে বেশ কয়েকবার ফেইসবুক লাইভে এসেছিলেন শহিদুল। ওই আন্দোলনের বিষয়ে আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি সরকারের সমালোচনাও করেন।
এরপর ৫ অগাস্ট শহিদুল আলমকে তার বাসা থেকে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে তার নামে মামলা হয়।
প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাগারে থাকার পর গত বছরের ২০ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান শহিদুল।