একইসঙ্গে সংস্কারের নামে ঐতিহাসিক এ স্থাপনা ধ্বংস করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ রুল জারি করে।
নাটোরের বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফারজানা শারমিন পুতুলের জনস্বার্থে করা একটি রিট আবেদনে এ রুল জারি করে আদালত।
আদালতে রিটকারী নিজেই আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাসার।
রুলে উত্তরা গণভবনের যে কোনো ধরনের কাঠামোগত পরিবর্তন, পরিমার্জন, বিনষ্ট বা ধ্বংস করা থেকে বিরত থাকতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং ওই স্থাপনার মূল নকশা পরিবর্তন সংক্রান্ত প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্যসংবলিত সাইনবোর্ড অপসারণের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
গণপূর্ত ও পর্যটন সচিব, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, নাটোরের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত ৭ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে ‘উত্তরা গণভবন: ঐতিহ্যে কুঠারাঘাত’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে এই রিট আবেদন করা হয়।
আবেদনে পর্যটন সুবিধা বাড়ানোর নামে উত্তরা গণভবনের মূল নকশার পরিবর্তন করে নতুন স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়।