যন্ত্রের সহায়তা ছাড়াই কাজ করছে কাদেরের হৃদপিণ্ড

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছে সিঙ্গাপুরেরর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 March 2019, 08:26 AM
Updated : 10 March 2019, 04:39 AM

সিঙ্গাপুরে কাদেরের সঙ্গে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক অধ্যাপক আবু নাসার রিজভী বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান, সেতুমন্ত্রীর হৃদযন্ত্রে যে আইএবিপি মেশিন বসানো হয়েছিল, তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে কৃত্রিম ‘সাপোর্ট’ ছাড়াই তার হৃদযন্ত্র স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে।

সিঙ্গাপুরেরর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে কার্ডিওলজিস্ট ডা. ফিলিপ কোহের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসা চলছে।

ডা. রিজভী বলেন, “আজকে বেলা সাড়ে ১২টায় আমি মেডিকেল বোর্ডের সাথে কথা বলেছি। মেডিকেল বোর্ড খুব সন্তুষ্ট। মেডিকেল বোর্ডের একজন কাদের ভাইয়ের সাথে কথা বলেছেন। চিকিৎসকের কথায় তিনি রেসপন্স করেছেন, দিস ইজ নম্বর ওয়ান পজিটিভ সাইন।

“হার্টের সাপোর্টিভ মেশিন আজকে খুলে ফেলা হয়েছে। উনার প্রেসার স্টেবল আছে।… বাকি সব প্যারামিটারসগুলোও দিন দিন ভালো হচ্ছে।”

গত রোববার সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঢাকার বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে ভর্তি হন ৬৭ বছর বয়সী ওবায়দুল কাদের। সেখানে এনজিওগ্রামে তার হৃদপিণ্ডের রক্তনালীতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে।

এর মধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের মাধ্যমে অপসারণ করেন চিকিৎসকরা। অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে সোমবার বিকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার আম্বুলেন্সে করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় সিঙ্গাপুরে।

সেদিন রাতেই মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসকরা ওবায়দুল কাদেরের জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে চিকিৎসা শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে কয়েক দিনের মধ্যে বাইপাস সার্জারি করার কথা ভাবছেন তারা। 

ডা. রিজভী বলেন, “মন্ত্রীর কিডনি আগের তুলনায় অনেক ভাল অবস্থায় রয়েছে। উনার ঘুমের ওষুধের পরিমাণও কমিয়ে আনা হয়েছে, ইনফেকশন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।”

কাদেরের স্ত্রী ইসরাতুন্নেসা কাদের ছাড়াও কয়েকজন সংসদ সদস্য ও সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সেতুমন্ত্রীর সর্বশেষ অবস্থা জানাতে শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় মাউন্ট এলিজাবেথের মেডিকেল বোর্ড আবার ব্রিফ করবে বলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা আবু নাছের জানিয়েছেন।