আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া জানান, সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের ওই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও রোববার সন্ধ্যায় ঢাকায় এসেছেন।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরপরই সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা ওবায়দুল কাদেরের পরিস্থিতি বুঝতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে যান বলে উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া জানান।
ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড ইতোমধ্যে জানিয়েছে, পথে কোনো জটিলতা দেখা দিলে তা সামাল দেওয়ার ব্যবস্থা যদি এয়ার অ্যাম্বুলেসে থাকে, দক্ষ চিকিৎসক ও কর্মী যদি সেখানে থাকে, কেবল তখনই বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেবেন তারা।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রোববার ভোরে অুসস্থ হয়ে পড়লে তাকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে নিয়ে আসেন স্ত্রী ইশরাতুন্নেসা কাদের। এনজিওগ্রামে তিনটি রক্তনালীতে ব্লক ধরা পড়লে চিকিৎসকরা একটি অপসারণ করেন।
তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের কার্ডিওলজির অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসান বিকালে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, অবস্থার সামান্য উন্নতি হওয়ায় ওবায়দুল কাদের ডাকে সাড়া দিয়ে চোখ মেলতে পারছেন।
তবে এখনও তার অবস্থা সঙ্কটজনক জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা পার হওয়ার আগে নিশ্চিত কিছু বলা সম্ভব না।
“আমরা আরও কিছুক্ষণ দেখব। হেমোডাইনামিক্যালি স্টেবিলিটি যদি কিছুক্ষণ থাকে, তাহলে আমাদের সিদ্ধান্ত দুটো হবে। আমরা মেডিকেল থেরাপি দিতে পারি অথবা ব্লকড থাকা অন্য নালীগুলো খুলে দিতে বাইপাস করতে পারি।”