বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রধান ক্রিকেট প্রতিবেদক আরিফুল ইসলাম রনির নেওয়া সাক্ষাৎকারের সঙ্কলন ‘কথায়-আড্ডায় মাশরাফি’ প্রকাশিত হল একুশে গ্রন্থমেলার বাইশতম দিনে।
শুক্রবার গ্রন্থমেলার মঞ্চে বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসেছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বললেন, “আজকের দিনে মাশরাফিই সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক।”
তিনি জানালেন, ক্রীড়া সাংবাদিক হিসেবে খেলার মাঠে তারকা মাশরাফির আলোকচ্ছটা দেখার সুযোগ যেমন তার দেখা হয়েছে, তেমনি কাছ থেকে জানার সুযোগ হয়েছে ব্যক্তি মাশরাফিকে।
বিভিন্ন সময়ে সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে ক্রিকেট আর ক্রিকেটের বাইরের জীবনে মাশরাফি বিন মুর্তজার অনুভূতির গল্পগুলো শোনার সুযোগ হয়েছে রনির। সেইসব গল্পই পাঠকদের জানাবে ‘কথায়-আড্ডায় মাশরাফি’ ।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “সারা দেশ এখন অপেক্ষায় থাকে, মাশরাফি কী সিদ্ধান্ত নিল, বাংলাদেশ ক্রিকেট দল জিতবে না হারবে… পুরো জাতি তার দিকে তাকিয়ে থাকে।”
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববিও উপস্থিত ছিলেন মাশরাফিকে নিয়ে এ বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে।
তিনি বললেন, “আমাদের ক্রিকেট সাহিত্যে একটা শূন্যতা রয়ে গেছে। এই বইটি সেই শূন্যতা পূরণ করবে। ক্রিকেটার মাশরাফি, জননেতা মাশরাফিকে জানতে কাছের মানুষরা আগ্রহ ভরে বইটি নেবে।”
‘কথায়-আড্ডায় মাশরাফি’তে স্থান পেয়েছে গত চার বছরে রনির নেওয়া ২২টি সাক্ষাৎকার। রনির ভাষায়, এই বই আসলে মাশরাফির সঙ্গেই পথচলা, তার কথায় ‘মগ্ন হয়ে’।
“তরুণদের জন্য মাশরাফি অসাধারণ একজন রোল মডেল। এই বইটির মাধ্যমে সমাজ, রাষ্ট্র সম্পর্কে মাশরাফির ধারণার কথাও আমরা জানতে পারব।”
রনি জানালেন, মাশরাফির সাক্ষাৎকারগুলোর বেশিরভাগই ‘সিচুয়েশনাল’, কোনো সিরিজ বা টুর্নামেন্ট, কিংবা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নেওয়া। কখনও সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের জিমে, কখনও ড্রেসিং রুমে। কোনোটি আবার তার বাসায়, অথবা মিরপুর ১২ নম্বরে তার আড্ডাখানায়।
“বিগত চার বছরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সিচুয়েশন, বিতর্ক, সমালোচনা, আর সব নিয়ে মাশরাফির ভাবনা ও তার ভেতরের অনুভূতির কথা তুলে আনতে চেয়েছি। বাংলাদেশের ক্রিকেটের গৌরবদীপ্ত সাফল্যের পথচলায় মাশরাফিকে কত কিছু মোকাবেলা করতে হয়েছে, তাও আনতে চেয়েছি।”
অথচ রনি হতে চেয়েছিলেন একজন বড় ক্রিকেটার। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে ঢাকার প্রথম বিভাগের একটি ক্লাবে এক মৌসুম ছিলেন। খেলার সুযোগ পাননি অবশ্য!
রনি বলেন, “ক্রিকেটার হতে না পারার আক্ষেপ পরে রূপ নিয়েছে ক্রিকেট লিখিয়ে হওয়ার আনন্দে।”
‘কথায় আড্ডায় মাশরাফি’ ছাড়াও এবার বিপিএল থেকে প্রকাশিত হচ্ছে শুভরঞ্জন দাশগুপ্তের ‘সেরাদের সংলাপ’ এবং রাজু আলাউদ্দিনের ‘নির্মলেন্দু গুণের সাথে ছয়টি আলাপ’।
২০১৫ সালে আত্মপ্রকাশের পর ইতোমধ্যে ৪৯টি বই প্রকাশ করেছে বিপিএল। ২০১৭ সালে অভিনেত্রী কবরীর আত্মজৈবনিক গ্রন্থ ‘স্মৃতিটুকু থাক’ প্রকাশ করে গ্রন্থমেলায় সাড়া ফেলে এ প্রকাশনা সংস্থা।
বিপিএলের বিক্রয় প্রতিনিধিরা জানালেন, এবারের মেলায় তাদের ‘রবীন্দ্র বিতর্ক’ ‘স্বাধীনতার ঘোষণা: ইতিহাসের নিজস্ব পাঠ’, ‘চকবাজার টু চায়না’, ‘বনে বেড়াই, ‘গোল্ডেন বাউ’, ‘ডেটলাইন ঢাকা’, ‘জীবনানন্দের খোঁজে’, ‘মেলার দিকে’, ‘রবীন্দ্রনাথের জমিদারগিরি’, ‘দাবা উপাখ্যান’সহ সবগুলোর বইয়েরই বেশ চাহিদা রয়েছে