কিন্তু বোনের বিয়ে আর দেখে যাওয়া হল না তার। পুরান ঢাকার চকবাজারের আগুন থামিয়ে দিল নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র রোহানের ছোটাছুটি।
রোহানের সাথে লাশ হয়েছেন বন্ধু উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ‘এ’ লেভেলের শিক্ষার্থী আরাফাতও। আরাফাত কাজী আলাউদ্দিন রোড সংলগ্ন আগা মসজিদ এলাকার বাসিন্দা।
বুধবার রাতে চকবাজারের চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পাশের কয়েকটি ভবনে আগুনে দগ্ধ ৬৭টি মরদেহ পাওয়ার কথা জানিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রোহান ও আরাফাতের স্বজনরা ঢাকা মেডিকেলের মর্গে এলেও তারা শনাক্ত করতে পারছিলেন না।
রোহানের চাচাত ভাই শার্ট ব্যবসায়ী মমিন খান বলেন, “রোহানের মরদেহ মর্গে আছে বলে নিশ্চিত হয়েছি। কিন্তু কেউ রোহানের মরদেহ শনাক্ত করতে পারছি না।”
মর্গের সামনে আগা মাসিহ লেন থেকে আসা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ওয়াজেদ জানান, রোহান আর আরাফাতের সঙ্গে ছিলেন তার ভাগ্নে মাইনুল ইসলাম লাবিব, রমিজ ও সোহাগ।
লাবিব, রমিজ আর সোহাগ ছিলেন একটি মোটর সাইকেলে আর রোহান ও আরাফাত ছিলেন অপরটিতে।
লাবিবের মাথার সামান্য অংশ পুড়লেও বেঁচে গেছেন জানিয়ে ওয়াজেদ বলেন, আরাফাতের মোটর সাইকেলটিতে আগুন ধরে আরাফাত ও রোহান দুজনই মারা গেছেন।
নিহত রোহানের বাবা মো. হাসান খান বৃহস্পতিবার দুপুরে মর্গের সামনে হাজির হলেও কথা বলার অবস্থায় ছিলেন না।
হাসান খানের সঙ্গে থাকা তার শ্বশুর ইউনুস খান জানান, মার্চে রোহানের ছোট বোনের বিয়ে। সেজন্য রোহান বন্ধুদের নিয়ে দৌড়ঝাঁপের মধ্যে ছিল।
“রোহান বন্ধুদের নিয়ে ওই এলাকায় গেছিল কমিউনিটি সেন্টার, ডেকোরেশনে কথা বলতে আর কেনাকাটা করতে। তখনই ওই ঘটনা ঘটে।”