বার্ন ইউনিটের কর্তব্যরত এক নার্স বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এখানে পোস্ট অপারেটিভ কক্ষে দগ্ধ হয়ে আটজন চিকিৎসা নিচ্ছেন। একজন ৬০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় আইসিইউতে আছেন।
আরও ৯ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের বাইরে দিনমজুর আবু তাহেরকে (৬৫) দেখা যায় আহাজারি করতে। তার ছেলে সোহাগ (২২) রয়েছেন আইসিইউতে, মা বেদানা বেগম (৫৫) ছেলের সঙ্গে রয়েছেন, বাইরে আছেন বাবা তাহের।
সোহাগের দেহের ৬০ শতাংশ পুড়েছে।
বেদানা বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার ছেলে চকবাজারের একটি পারফিউমের দোকানে চাকরি করত। আগুন লাগার সাথে সাথে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নিয়ে আসা হয়।”
বার্ন ইউনিটের দ্বিতীয় তলার পোস্ট অপারেটিভ পক্ষে ঢুকতেই চোখে পড়ে মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে সারা শরীরে ব্যান্ডেজ মোড়ানো অবস্থায় শুয়ে আছেন।
তার মেয়ে বিথী বলেন, বাবা পেশায় রিকশাচালক। তিন ভাইসহ তারা কামরাঙ্গীরচর থাকেন।
“রাতে বাবা নিজেই বাসায় ফোন করে বলে, আমার শরীরে আগুন লাগছে। এরপর তার ফোনের পাশে থাকা অপরিচিত কণ্ঠ থেকে বলা হয় ঢাকা মেডিকেলে চলে আসেন।”
চকবাজারের এই অগ্নিকাণ্ডে অর্ধ শতাধিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বহু। আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।