সমন্বয় বদলি করা হবে প্রাথমিকের শিক্ষকদের

মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন করে সরকারি হওয়া বিদ্যালয় ও আগে থেকেই সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষকদের মধ্যে পারস্পারিক বা সমস্বয় বদলি করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

২০১৩ সালে জাতীয়করণ হওয়া ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়য়ের শিক্ষকরা এতদিন অন্য বিদ্যালয়ে বদলি হতে পারতেন না।

এর ফলে এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান ‘কাঙ্ক্ষিত মাত্রায়’ নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না জানিয়ে বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নতুন ও পুরাতন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পার্শ্ববর্তী স্কুলে সমন্বয় বদলি করে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে তা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দিয়েছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে একযোগে ৩৬ হাজার ১৬৫টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেন। আর মেয়ে ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারি করে দেন।

বর্তমানে বাংলাদেশে ৬৫ হাজার ৫৯৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মানসম্মত ও একীভূত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

“কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, নব জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয়গুলোতে শুধুমাত্র আত্মীকরণকৃত শিক্ষকদের দ্বারা পাঠদান কার্যক্রম চলমান থাকায় উক্ত বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মান কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

“প্রতিটি বিদ্যালয়ে মানসম্মত ও একীভূত শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পুরাতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নবসৃষ্ট জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা জরুরি বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।”

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, “পুরাতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নব জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে সংমিশ্রণ ঘটালে সারাদেশে প্রতিটি বিদ্যালয়ে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভবপর হবে।

“সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে পুরাতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে নিকটস্থ বা পার্শ্ববর্তী নব জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং নব জাতীয়করণকৃত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে নিকটস্থ বা পার্শ্বর্তী পুরাতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করে বদলিকৃত শিক্ষকদের তালিকাসহ প্রতিবেদন আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।”