আবু ধাবি সফররত প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার সেন্ট রেগিজ হোটেলে বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, “দেশের উন্নয়নের জন্য আমরা কাজ করছি। প্রবাসীরাও দেশে বিনিয়োগ করে যথেষ্ট লাভবান হতে পারেন। দেশের কল্যাণও করতে পারেন।
“বাংলাদেশে যত বেশি বিনিয়োগ হবে, দেশের মানুষের কর্মসংস্থান তত বাড়বে, দেশের উৎপাদন বাড়বে, দেশ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে।”
প্রবাসী কয়েকজন ব্যবসায়ী দেখা করে দেশে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলেও জানান তিনি।
“এখনকার ডিপ্লোমেসিটা আসলে অর্থনৈতিক ডিপ্লোমেসি। এখন আর রাজনৈতিকটা নাই। যত বেশি বিনিয়োগ করা যায়, যত বেশি ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানো যায়, ততই ভালো।”
প্রবাসীরা যে দেশে থাকছেন সেই দেশের নিয়ম-কানুন মেনে চলার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি বৈধ পথে দেশে টাকা পাঠানোর আহ্বানও জানান তিনি।
চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে প্রথম বিদেশ সফরে জার্মানির মিউনিখে এক সম্মেলনে অংশ নিয়ে রোববার আবু ধাবিতে পৌঁছে আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী ও নেভাল ডিফেন্স অ্যান্ড মেরিটাইম সিকিউরিটি প্রদর্শনীতে অংশ নেন শেখ হাসিনা।
এরপর দুদিন নানা বৈঠকে ব্যস্ত সময় কাটানোর পর ফেরার আগের দিন প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।
বক্তব্যের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আপনারা জানেন সরকার গঠনের পর এটাই প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর ও প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর। কাজেই প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর সফল হয়েছে।”
সংযুক্ত আরব আমিরাতকে পরীক্ষিত বন্ধু অভিহিত করে ১৯৭৪ সালে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের দেশটি সফরের কথা স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
উন্নত, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে নিজের প্রচেষ্টার কথা প্রবাসীদের কাছে তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরা গত নির্বাচনে দেখেছি, সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের টার্গেট ছিল যেন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে ও দেশে উন্নয়ন হয়।
“সে জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলব, আপনারা আমাদের ভোট দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আমরা আপনাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।”
শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ। কারও কাছে আমরা হাত পেতে, কারও কাছে মাথা নত করে আমরা চলব না।”
সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের অঙ্গীকারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতি প্রতিরোধে যা যা করণীয় আমরা করব, করে যাচ্ছি।”
আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমেদ ছাড়াও বেশ কয়েকজন প্রবাসী বাংলাদেশি বক্তব্য দেন।