নটরডেমের ছাত্র ইয়োগেনকে হত্যা ‘চেতনানাশক খাইয়ে’

ঢাকার সবুজবাগে নটরডেম কলেজের ছাত্র ইয়োগেন গনসালভেজ হত্যাকাণ্ডে এক শিক্ষানবিশ আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Feb 2019, 02:07 PM
Updated : 17 Feb 2019, 02:07 PM

সখিনা বেগম সবিতা (২৬) নামের এই নারী হত্যাকাণ্ডের কথা ‘স্বীকার করেছেন’ জানিয়ে র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক মো. এমরানুল হাসান বলেছেন, ইয়োগেনের বাসায়ই তাকে জুসের মধ্যে চেতনানাশক খাইয়ে হাত-পা বেঁধে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার গভীর রাতে বাসাবো কদমতলা এলাকার ওই বাসা থেকে ২২ বছর বয়সী ইয়োগেনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে সোমবার রাতে উত্তর মুগদার একটি বাসা থেকে সবিতাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

নটরডেমের স্নাতকের ছাত্র ইয়োগেনের বাড়ি চট্টগ্রামের পাথরঘাটায়। আর সবিতার বাড়ি গাজীপুরের পূবাইলে।

‘পুওর পিপলস হেল্প ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংগঠনে যুক্ত ছিলেন তারা। ওই সংগঠনের আরেক সদস্য আইনজীবী জাফর উল্লাহ রাসেলও তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে র‌্যাব কর্মকর্তা এমরানুল জানান।

রোববার বিকালে কারওয়ানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জাফর ও সবিতা স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাস করে আইন পেশায় যান। সবিতা এখন ঢাকা জজ কোর্টে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সিনিয়র জাফরের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে শাহবাগ থানায় একটি মামলা করেছিলেন সবিতা। ওই মামলায় সাক্ষী হয়েছিলেন ইয়োগেন।

আর এর সূত্র ধরে ইয়োগেন বারবার সবিতার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ ছিলেন বলে জানান র‌্যাব কর্মকর্তা এমরানুল।

তিনি বলেন, “ইয়োগেন সবিতাকে টাকা-পয়সার জন্য বিরক্ত করার কারণে হত্যার পরিকল্পনা করে এবং এজন্য ৫ ফেব্রুয়ারি পুরান ঢাকা থেকে ব্যাগ ও বটি কেনে বলে জিজ্ঞাসাবাদে সবিতা জানিয়েছে।”

সবিতার কাছ থেকে ওই দিনের ঘটনার বিবরণও পাওয়া গেছে বলে জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা।

“হত্যা করার আগে সবিতা ইয়োগেনকে নিয়ে বোরকা পরে হিরাঝিল মসজিদ গলির ইয়োগেনের বাসায় যায় এবং সঙ্গে নেওয়া জুসে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে হাত-পা বেঁধে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।”

ওই ভবনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দুজনকে একসঙ্গে বাসায় প্রবেশ এবং পরে সবিতাকে বেরিয়ে যেতে দেখা গেছে বলে জানান এমরানুল।

এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে অন্য কারও সম্পৃক্ততা বা অন্য কোনো কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।