নারী আসনে ৪৯ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত

একাদশ সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে ৪৯ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Feb 2019, 12:27 PM
Updated : 16 Feb 2019, 12:35 PM

শনিবার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিনে কেউ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি।

পাশাপাশি অতিরিক্ত কোনো প্রার্থী না থাকায় এই ৪৯ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন এই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাশেম।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আইন অনুযায়ী রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে। একই সঙ্গে নির্বাচিতদের নাম-ঠিকানাসহ গেজেট প্রকাশের জন্য কমিশনে উপস্থাপন করা হবে।”

গেজেট প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে সাংসদ হিসেবে শপথ নেয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

দলগুলোর প্রাপ্ত সাধারণ আসনের  সংখ্যানুপাতে বণ্টিত নারী আসনে বিএনপির একটি আসন পাওয়ার সুযোগ থাকলেও দলটি থেকে নির্বাচিতরা এখনও শপথ নেয়নি বলে তাদের নারী আসন স্থগিত রয়েছে, তাই প্রার্থী একজন কম হয়েছেন।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী অন্য সব রাজনৈতিক দল এবং স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের জোটের প্রার্থীরা নির্ধারিত সময়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাদের পাওয়া ৪৩ জনের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে রয়েছেন সমাজসেবী আরমা দত্ত, অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা।

গণপরিষদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের নাতনী আরমা দত্ত যাচ্ছেন সংসদে

জাতীয় পার্টি তাদের পাওয়া চারজনের মনোনয়নপত্র জমা দেয়। তার মধ্যে সরকারি নির্বাচনে অংশ নিয়ে হেরে যাওয়া সালমা ইসলামও রয়েছেন।

জাতীয় পার্টির অন্য তিন নারী সংসদ সদস্য হচ্ছেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রওশন আরা মান্নান ও নাজমা আকতার।

সালমা ইসলামসহ জাতীয় পার্টির চারজন হচ্ছেন সংসদ সদস্য

ওয়াকার্স পার্টির একজনের মনোনয়নপত্র জমা দেয়। এর মধ্য দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন দলটির সভাপতি রাশেদ খান মেননের স্ত্রী লুৎফুন নেসা খান ।

স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষ থেকে নারী আসনে এমপি নির্বাচিত সেলিনা ইসলাম লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলামের স্ত্রী।

আওয়ামী লীগের ৪৩ জন

ঢাকা থেকে সুবর্ণা মুস্তাফা, শিরীন আহমেদ, জিন্নাতুল বাকিয়া, শবনম  জাহান শিলা ও নাহিদ ইজহার খান; চট্টগ্রাম থেকে খাদিজাতুল আনোয়ার ও ওয়াশিকা আয়েশা খানম; কক্সবাজার থেকে কানিজ ফাতেমা আহমেদ, খাগড়াছড়ি থেকে বাসন্তী চাকমা, কুমিল্লা থেকে আঞ্জুম সুলতানা ও আরমা দত্ত; ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, গাজীপুর থেকে শামসুন্নাহার ভূঁইয়া ও রুমানা আলী; বরগুনা থেকে সুলতানা নাদিরা, জামালপুর থেকে হোসনে আরা, নেত্রকোণা থেকে হাবিবা রহমান খান (শেফালী) ও জাকিয়া পারভীন খানম; 

দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নারী আসনের প্রার্থীরা

পিরোজপুর থেকে শেখ এ্যানী রহমান, টাঙ্গাইল থেকে অপরাজিতা হক, সুনামগঞ্জ থেকে শামীমা আক্তার খানম, মুন্সিগঞ্জ থেকে ফজিলাতুন নেসা, নীলফামারী থেকে রাবেয়া আলীম, নরসিংদী থেকে তামান্না নুসরাত বুবলী, গোপালগঞ্জ থেকে নার্গিস রহমান, ময়মনসিংহ থেকে মনিরা সুলতানা, ঝিনাইদহ থেকে খালেদা খানম, বরিশাল থেকে সৈয়দা রুবিনা মিরা, পটুয়াখালী থেকে কাজী কানিজ সুলতানা, খুলনা থেকে গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, টাঙ্গাইল থেকে খন্দকার মমতা হেনা লাভলী, দিনাজপুর থেকে জাকিয়া তাবাসসুম, নোয়াখালী থেকে ফরিদা খানম (সাকী), ফরিদপুর থেকে রুশেমা বেগম, কুষ্টিয়া থেকে সৈয়দা রাশেদা বেগম, মৌলভীবাজার থেকে সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, রাজশাহী থেকে আদিবা আনজুম মিতা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ফেরদৌসী ইসলাম জেসী, শরিয়তপুর থেকে পারভীন হক সিকদার, রাজবাড়ী থেকে খোদেজা নাসরীন আক্তার হোসেন, মাদারীপুর থেকে তাহমিনা বেগম, পাবনা থেকে নাদিয়া ইয়াসমিন জলি ও নাটোর থেকে রত্না আহমেদ।