কবি আল মাহমুদের জানাজা অনুষ্ঠিত, শহীদ মিনারে নেওয়ার দাবি বিএনপির

‘সোনালী কাবিন’র কবি আল মাহমুদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় প্রেস ক্লাবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Feb 2019, 07:27 AM
Updated : 16 Feb 2019, 07:27 AM

শনিবার সকালে জানাজা শেষে কবির বড় ছেলে শরীফ মাহমুদ জানিয়েছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌরাইল গ্রামে রোববার তার বাবাকে সমাহিত করার প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা।

এদিকে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কবি আল মাহমুদের কফিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি।

বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভোগার পর শুক্রবার চিরবিদায় নেন ৮২ বছর বয়সী আল মাহমুদ।

শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জানাজার পর শরীফ মাহমুদ জানান, বায়তুল মোকাররমে দ্বিতীয় এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌরাইল গ্রামে কবির তৃতীয় জানাজা হবে।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সকালে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, স্বাধীনতা সংগ্রামী এই মুক্তিযোদ্ধার লাশ জাতীয় শহীদ মিনারে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নিয়ে আসা হোক। সেই অনুমতি সরকারের দেওয়া উচিৎ।”

তিনি বলেন, “তার মরদেহ শহীদ মিনারে যদি আনতে না দেওয়া হয়, তখন এটাই প্রমাণিত হবে এই সরকার তাদের ভিন্ন মতাবলম্বী, তারা মুক্তিযোদ্ধাই হোক, আর যত বড় স্বাধীনতা সংগ্রামী হোক, তাদের কোনো মূল্য নেই তাদের কাছে। তাদের (ক্ষমতাসীন) চেতনার বাইরে হলেই তারা স্বাধীনতাবিরোধী, তারা মুক্তিযোদ্ধাবিরোধী।”

মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করতে গিয়ে কবি আল মাহমুদ কারারুদ্ধও হওয়ার কথাও তুলে ধরেন রিজভী।

কবির প্রতি দলের শ্রদ্ধা জানিয়ে  এই বিএনপি নেতা বলেন, “আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান ও আমাদের চেতনার অক্ষয়জ্যোতি কবি আল মাহমুদের ইন্তেকালে গোটা দেশবাসীর সাথে আমরাও গভীরভাবে শোকভুত। কিংবদন্তিতুল্য কবির প্রতি বিএনপি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছে।”

কবির রচনা স্মরণ করে রিজভী বলেন, “এদেশের প্রগতিশীল আন্দোলন থেকে শুরু করে আমাদের বায়ন্নোর ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বাধিকারের লড়াই, মুক্তিযুদ্ধ- কোথায় নেই কবি আল মাহমুদের কাব্য প্রতিভা?

“আমরা যখন ২১ ফেব্রুয়ারিতে যাই প্রভাতফেরিতে, তখন আমার ভাইয়ের রক্ত রাঙানো গানের পরেও আমরা আরও যে সমস্ত কবিতা আবৃত্তি করি, গান গাই- ‘ফেব্রুয়ারির ২১ তারিখ দুপুর বেলার অক্ত’ এই যে কবিতাগুলো আমাদেরকে কবি আল মাহমুদকে স্মরণ করিয়ে দেয়।”