সেন্টমার্টিন ফের মিয়ানমারের মানচিত্রে, বাংলাদেশের প্রতিবাদ

মিয়ানমার আবারও তাদের মানচিত্রে সেইন্ট মার্টিন দ্বীপপুঞ্জকে নিজেদের অংশ হিসেবে দেখানোয় দেশটির রাষ্ট্রদূতকে ডেকে ‘কড়া’ প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Feb 2019, 03:22 PM
Updated : 14 Feb 2019, 03:22 PM

মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া উইং) মো. দেলোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, মিয়ানমারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত অং কিয়াওকে বৃহস্পতিবার বিকালে মন্ত্রণালয়ে ডেকে একটি প্রতিবাদলিপি ধরিয়ে দেওয়া হয়।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, মানচিত্রে সেইন্ট মার্টিনকে মিয়ানমারের অংশ হিসেবে দেখানো যে ‘ভুল’ হয়েছে, তা স্বীকার করেছেন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত। 

এর আগে গতবছর অক্টোবরে একটি সরকারি ওয়েবসাইটের মানচিত্রেও একই কাজ করেছিল মিয়ামার।

তখন দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলব করে প্রতিবাদ জানানো হলে সেই মানচিত্র সংশোধন করে নেওয়া হয়েছিল।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, “ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে আমরা জিজ্ঞেস করেছি, একই কাজ তারা বার বার কেন করছেন। তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে এটা একটা ভুল।

“আমরা তাকে বলেছি যত দ্রুত সম্ভব ওই মানচিত্র যেন সংশোধন করা হয়। তিনি বলেছেন, তার দেশের রাজধানীতে তিনি বিষয়টি জানাবেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কালকের মধ্যেই এটা সংশোধন করে নেওয়া হবে।”    

রোহিঙ্গা নিপীড়নের অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে থাকা মিয়ানমার এর আগেও বিভিন্নভাবে মনোযোগ সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে, যাকে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড হিসেবে বর্ণনা করেছে বাংলাদেশ।

আকাশ সীমা লঙ্ঘন, বিনা উসকানিতে সীমান্তে গুলি ছোড়ার মত বিভিন্ন ঘটনায় এর আগেও মিয়ানমারের দূতকে ডেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

কক্সবাজার সংলগ্ন প্রবাল দ্বীপ সেইন্ট মার্টিন সৃষ্টি থেকে বর্তমান বাংদেশের ভূখণ্ডের অন্তর্গত। ব্রিটিশ শাসনাধীনে ১৯৩৭ সালে যখন বার্মা ও ভারত ভাগ হয়, তখন সেইন্ট মার্টিন ভারতে পড়েছিল।

১৯৪৭ সালে ভারতে ভাগের সময় সেইন্ট মার্টিন পাকিস্তানের অন্তর্ভূক্ত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে এটি বাংলাদেশে অন্তর্গত।

১৯৭৪ সালে সেইন্ট মার্টিন দ্বীপপুঞ্জকে বাংলাদেশের ধরে নিয়েই মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা চুক্তি হয়। পরে সমুদ্র সীমা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে বিরোধ নিষ্পত্তিতেও সেন্ট মার্টিন বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে থাকে।