সোমবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে সাবেক মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এ দাবি করেন।
পরে নারায়ণগঞ্জ সদর আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানও তার দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেন।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি ওএসডি হওয়া হোসনে আরা অভিযোগ করেছেন, সন্তানসম্ভবা হওয়ায় ‘একজন বিশেষ কর্মকর্তা’ তাকে বিভিন্ন মহলে ‘অযোগ্য’ হিসেবে উপস্থাপন করে বদলির পাঁয়তারা করছিলেন।
গত শনিবার তিনি ফেইসবুক পোস্টে এই অভিযোগ করার পর সারা দেশে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মধ্যে তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
তার ওএসডির আদেশ খতিয়ে দেখার দাবির বিষয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী পদক্ষেপ নেবেন বলে সংসদে সভাপতির আসনে থাকা ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া আশা প্রকাশ করেন।
সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে মেহের আফরোজ ওএসডির প্রেক্ষাপটে হোসনে আরার ফেইসবুক স্ট্যাটাসের প্রসঙ্গটি তোলেন।
“তিনি যখন ডাক্তারের কাছে গেলেন তখন জানতে পারলেন ওএসডি হয়েছেন। এই খবরটি শুনে মানসিক চাপে আকস্মিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তিনি সন্তান প্রসব করেন। সময়ের আগে সন্তানটি প্রসব করার কারণে শিশুটি মৃত্যুপথযাত্রীর মতো অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসায় আছে। নয় বছর মা হওয়া, সেই শিশুটি, তার মানসিক কী অবস্থা তা আমরা নিশ্চয়ই উপলব্ধি করতে পারছি।”
মেহের আফরোজ বলেন, “একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি যদি সেই দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে থাকেন তাহলে সন্তানসম্ভবা অবস্থায় কেন তাকে ওএসডি করা হল? এটি আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। একজন অন্ত:স্বত্ত্বা মায়ের সাথে কেমন আচরণ করা উচিত, সমাজ এখনো সেই বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারে না। এই সময় এমন আচরণ উচিত নয় যাতে সন্তান বা মায়ের ক্ষতি হতে পারে। সন্তান সুস্থভাবে জন্ম না নিলে তা কেবল মা বা তার পরিবার নয়, দেশের জন্য বোঝা হয়ে যেতে পারে।”
এই ঘটনার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান সাবেক প্রতিমন্ত্রী।
কার নির্দেশে ওই কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছে, প্রশ্ন রেখে শামীম ওসমান বলেন, “এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে খারাপ কিছু হলে আমি নিজেও নিজেকে ক্ষমা করতে পারব না। আমি মনে করি, জনপ্রশাসন মন্ত্রীকে কোনো দিকনির্দেশনা থাকলে তা দিতে পারেন।”