রোববার এ লক্ষ্যে ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) বিল-২০১৩’ সংসদে তোলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহব উদ্দিন।
পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলে বলা হয়েছে মাটির ব্যবহার কমাতে সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়ে ইটের বিকল্প হিসেবে ব্লক উৎপাদন ও ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে পারবে।
প্রস্তাবিত আইনে ব্লকের সংজ্ঞা স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, ব্লক অর্থ বালি, সিমেন্ট, ফ্ল্যাই অ্যাশ বা অন্য কোনো উপাদান, মাটি ব্যতীত না পুড়িয়ে প্রস্তুত করা নির্মাণ সামগ্রী।
বিলে বলা হয়েছে, সরকার প্রযুক্তি ও উৎপাদন ক্ষমতা অনুসারে ইটভাটার জায়গার পরিমাণ ও নির্দিষ্ট এলাকায় ইট ভাটার সংখ্যা নির্ধারণ করে দিতে পারবে।
বর্তমান আইনে বলা আছে, অন্য কোনো আইনে যাই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তি ইটভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে নির্ধারিত মানমাত্রার অতিরিক্ত সালফার, অ্যাশ, মারকারি বা অনুরূপ উপাদান সম্বলিত কয়লা জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করিতে পারবেন না।
এছাড়া নতুন আইনে বিভিন্ন জরিমানার অর্থও বাড়ানো হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে মাটির ব্যবহার কমাতে সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভাটায় উৎপাদিত ইটের একটি নির্দিষ্ট হারে ছিদ্রযুক্ত ও ব্লক প্রস্তুতের নির্দেশনা জারি করতে পারবে। এছাড়া আইনে গ্যাসীয় নিঃসরণ ও তরল বর্জ্যের নির্গমন মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বর্তমান আইনের তফসিলে ইট প্রস্তুতের জন্য লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদন, লাইসেন্স এবং ইট প্রস্তুতকারীর হলফনামার নমুনা সংযোজন করা হয়েছে।
বিলে লাইসেন্স পাওয়ার আবেদনের সাথে ইট প্রস্তুতের মাটির উৎস উল্লেখ করে হলফনামা দাখিল করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, এই আইন প্রণয়ন হলে, এতে কৃষির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় টপ সয়েল রক্ষাসহ ইটভাটাজনিত পরিবেশ দূষণ কমবে।