শুক্রবার দিনব্যাপী নানা আয়োজনে শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ীদের আড্ডা, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মুখরিত ছিল রাজধানীর বাংলা মোটরের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভবন।
সকালে ৯টায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে বর্ণিল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে বর্ষপূর্তির আনুষ্ঠানিকতার সূচনা হয়।
এরপর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভবনে হয় প্রীতি সমাবেশ। সারা দেশ থেকে আসা প্রায় ১০ হাজার অতিথি এ আয়োজনে অংশ নেন।
১৯৭৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর ঢাকা কলেজের বাংলার অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদের উদ্যোগে যাত্রা শুরু করে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র।
এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশে অ-প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বিস্তারে ভূমিকা রাখায় ২০০৫ সালে অধ্যাপক সায়ীদকে একুশে পদকে দেয় সরকার।
অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, “আমার সঙ্গে কখনও কারও দেখা হলে কেউ যদি বলে সে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সঙ্গে জড়িত, তবে তার দিকে আমি বিশেষ দৃষ্টিতে তাকাই। আমি মনে করি, এখন যারা বই পড়ে না তাদের বলতে হবে, বই পড়, নইলে বড় হবে না।”
অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে অধ্যাপক রেহমান সোবহান সাংবাদিকের বলেন, “ছোট থেকে এখন এটা একটা বড় গাছ। এটা আমার অনেক ভালো লাগে। এটা আমাদের পুরো দেশের জন্য ম্যাটার অব প্রাইড।”
৪০ বছর পূর্তির আয়োজনে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, “শুধু আমি একা নই, অনেক মানুষ তাদের শ্রম দিয়ে এর সঙ্গে থেকে কাজ করেছেন। চল্লিশ বছর গেল, কিন্তু এ আলোকিত করার কাজ চল্লিশ বছরের ব্যাপার না, হাজার হাজার বছরের বিষয়। সামনে আমাদের আনেক চ্যালেঞ্জ, এ নিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে।”