ভোটকেন্দ্র একাডেমিক ভবনে করার দাবি ডাকসুর সাবেক এজিএসের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং হল সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র একাডেমিক ভবনে স্থাপনের দাবিতে সংহতি সমাবেশ করেছে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর মোর্চা প্রগতিশীল ছাত্র জোট।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Feb 2019, 03:53 PM
Updated : 7 Feb 2019, 03:53 PM

বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এই সমাবেশে সংহতি জানান ডাকসুর সাবেক এজিএস ও ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি নাসির-উদ-দুজা।

১৯৮৯ সালে নির্বাচিত ডাকসুতে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সুলতান-মুশতাক প্যানেল থেকে এজিএস নির্বাচিত হয়েছিলেন নাসির-উদ-দুজা।

প্রগতিশীল ছাত্র জোটের সমন্বয়ক দিলীপ রায়ের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ইমরান হাবিব রুমন, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী, ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন, ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক রাজিব দাস প্রমুখ।

তিন দশক পর ডাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়ে আগের মতো হলে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

তবে হলে ভোটকেন্দ্র হলে শিক্ষার্থীরা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবে না বলে তার বিরোধিতা করছে বাম ছাত্র সংগঠনগুলো।

তাদের দাবিতে সংহতি জানিয়ে নাসির-উদ-দুজা বলেন, “আমি এ দাবিকে সমর্থন করি। কারণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলেও এখন তা আর নেই। এখন অনেকগুলো হল থাকলেও প্রশাসনের হাতে সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেই। 

“হলগুলোতে এখন ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। একারণে বেশিরভাগ ছাত্র হলে থাকে না।  এজন্য আমি মনে করি, ডাকসু নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রগুলো একাডেমিক ভবনে স্থাপন করা উচিৎ।"

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কথা বলার স্বাধীনতা ও মত প্রতিষ্ঠার সুযোগ নেই বলে দাবি করেন ইমরান হাবিব রুমন।  

তিনি বলেন, “২৯ বছর পর ডাকসু নির্বাচনে কে জিতবে বা কে হারবে এটা বড় কথা নয়, বরং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করাই বড় কথা। কিন্তু তা এখন নেই। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা হলে যেতে ভয় পায়। সেখানেই আবার কেন্দ্র দেওয়া হয়েছে।”

লিটন নন্দী বলেন, "ডাকসু নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র হলে হবে এটাই স্বাভাবিক। এতে আমাদের কোনো আপত্তি ছিল না। কিন্তু যখন দেখা যায়, সিট বন্টন করতে গিয়ে একজন প্রভোস্টকে ধাওয়া খেতে হয়, একজন হাফিজুর গেস্টরুমের কারণে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়, তখন হলে ভোটকেন্দ্র হলে আরও কী হবে, তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত।”

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতিআরা নাসরিন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী সামিনা লুৎফা এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশের আগে একটি মিছিল করেন প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতা-কর্মীরা।