বৃহস্পতিবার নয়া দিল্লিতে মোদীর সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই সাক্ষাৎ হয় বলে বাংলাদেশ হাই কমিশন জানিয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফরে বুধবার রাতে নয়া দিল্লি পৌঁছান মোমেন। তিন দিনের সফরের প্রথম দিনেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন তিনি।
শুক্রবার দুই দেশের যৌথ পরামর্শক কমিশনের সভায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে মোমেনের। ওই বৈঠকের পর দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা নিয়ে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।
হাই কমিশন জানিয়েছে, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাতে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক ত্রাণ সহায়তা পাঠানোয় ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। রোহিঙ্গারা যাতে দ্রুত সময়ে তাদের স্বভূমিতে ফিরে যেতে পারে সেজন্য ভারত সরকারের সহায়তা চান তিনি।
মোদী এ বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বলে হাই কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারতের অংশীদারিত্ব বাড়ছে বলে উল্লেখ করেছেন মোদী। বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে ভারতের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।”
নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়া ৩০ ডিসেম্বরের ভোটের পর প্রথম বিদেশি নেতা হিসেবে অভিনন্দন জানানোয় মোদীর প্রতি শেখ হাসিনার প্রশংসা বাণীও পৌঁছে দেন তিনি।
সফরে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনোমোহন সিং এবং রাজ্যসভায় বিরোধী দলের উপপ্রধান আনন্দ শর্মার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মনোমোহনকে শেখ হাসিনা শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন মোমেন। মনমোহনও টানা তৃতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তিস্তার পানি বণ্টনসহ দুই দেশের অমীমাংসিত বিভিন্ন বিষয়ের সুরাহা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সফর শেষে শনিবার দেশে ফিরবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।