সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “জাহালমের ব্যাপারে যেটা হয়েছে অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি এটার তীব্র ভাষায় নিন্দা করি।”
আসামি না হয়েও সোনালী ব্যাংকের অর্থ জালিয়াতির ঘটনায় দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তিন বছর জেল খেটে হাই কোর্টের আদেশে গত ৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পান জাহালম।
সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে আবু সালেক নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৩৩টি মামলা করে দুদক। দুদকের ভুলে সালেকের বদলে কারাগারে কাটাতে হয় জাহালমকে।
মুক্তি পাওয়ার পর জাহালম বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দুদকের বিচার চান। অন্যদিকে দুদক এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে কর্মকর্তাদের গাফিলতি ছিল কি না খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি করেছে।
জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, “মানবাধিকার নিয়ে আমরা আমাদের অভিমত ও কমিটমেন্ট ব্যক্ত করেছি। আমি বলেছি, শেখ হাসিনার সরকার বিশ্বাস করে বাংলাদেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা সরকারের অন্যতম লক্ষ্য এবং এটা সরকার সব সময় করে যাচ্ছে। যার কারণে আজকে মানবাধিকার পরিস্থিতি অনেক উন্নত।
“মানবাধিকার লঙ্ঘন যারা করবে, তাদের ব্যাপারে এই সরকারের অবস্থান পরিষ্কার, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।”
জাতিসংঘের যতগুলো সংস্থা রয়েছে সেগুলো এক প্ল্যাটফর্মে থেকে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চায় বলেও জানান আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “যেসব আইন হলে ভালো হয়, যেসব আইনের ব্যাপারে তাদের কিছু বক্তব্য আছে, সেসব নিয়ে উনারা কথা বলেছেন।
“এভিডেন্স অ্যাক্ট, এন্টি ডিসক্রিমিনেশন অ্যাক্ট- এগুলো কবে হবে, এগুলোর ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নিয়েছি তা জানতে চেয়েছেন। আমরা বলেছি, এভিডেন্স অ্যাক্ট নিয়ে আমরা কাজ করছি, এন্টি ডিসক্রিমিনেশন অ্যাক্টের ব্যাপারে আগামী মাসে সভা করব, বিশ্বে এ ধরনের আইনের মধ্যে কি আছে জানার চেষ্টা করব।”
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়েও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হয়েছে জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, “আমি স্পষ্টভাবে সরকারের অবস্থান ব্যক্ত করেছি।”