প্রয়াত পপ শিল্পী আজম খান, আলোকচিত্রী সাইদা খানম, অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা এবং কথাশিল্পী ইমদাদুল হক মিলনও রয়েছেন তাদের মধ্যে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২০১৯ সালের একুশে পদকের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করে।
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি গোলাম আরিফ টিপু একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছেন ভাষা আন্দোলনে অবদানের জন্য।
একই কারণে প্রয়াত অধ্যাপক হালিমা খাতুন ও অধ্যাপক মনোয়ারা ইসলামকেও এবার এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। আর ক্ষিতীন্দ্র চন্দ্র বৈশ্য এবার একুশে পদক পাচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য।
সুবর্ণা মুস্তাফার সঙ্গে লাকী ইনাম ও লিয়াকত আলী লাকী একুশে পদক পাচ্ছেন অভিনয়ের জন্য।
দেশের প্রথম নারী আলোকচিত্রী সাইদা খানম আলোকচিত্রে অবদানের জন্য এবং চিত্রশিল্পী জামাল উদ্দিন আহমেদ চারুকলায় এ পুরস্কার পাচ্ছেন।
গবেষণায় বিশ্বজিৎ ঘোষ ও মাহবুবুল হক এবং শিক্ষায় প্রণব কুমার বড়ুয়াকে এ পদকের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।
এছাড়া ভাষা সাহিত্যে রিজিয়া রহমান, ইমদাদুল হক মিলন, অসীম সাহা, আনোয়ারা সৈয়দ হক, মইনুল আহসান সাবের ও হরিশংকর জলদাস একুশে পদক পাচ্ছেন।
আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে পদক তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, এককালীন দুই লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে।
ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে সরকার ১৯৭৬ সাল থেকে প্রতি বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে।