ঢাকায় এখন ভোটের উত্তাপ টের ‘পাচ্ছেন’ মাহবুব তালুকদার

পাঁচ দিন আগেও ঢাকায় নির্বাচনের উত্তাপ টের না পাওয়ার কথা বলেছিলেন মাহবুব তালুকদার, বিষয়গত কোনো পরিবর্তন না ঘটলেও আগের অবস্থানে এখন আর নেই এই নির্বাচন কমিশনার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Feb 2019, 01:33 PM
Updated : 5 Feb 2019, 01:33 PM

তিনি মঙ্গলবার বলছেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নির্বাচন ঘিরে ভোটের উত্তাপ দেখতে পাচ্ছেন তিনি।

আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে উপ-নির্বাচন এবং উত্তর ও দক্ষিণ মিলিয়ে  ৩৮টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই মাসের মধ্যে অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়ায় গত ৩১ জানুয়ারি এক সভায় ভোটের পরিস্থিতিতে ‘নাতিশীতোষ্ণ’ বলেছিলেন মাহবুব তালুকদার।

মঙ্গলবার নির্বাহী হাকিমদের নিয়ে ইসির দিক-নির্দেশনামূলক সভায় তিনি বলেন, “ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রধান বিরোধী দলের (বিএনপি) প্রার্থী না থাকায় আমি এই নির্বাচনকে উত্তাপ ও উষ্ণতাবিহীন একটি শীতল নির্বাচন বলে অভিহিত করেছিলাম।

“কিন্তু ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের যে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তাতে এই নির্বাচনকে আর নিরুত্তাপ বলার কোনো অবকাশ নেই।”

মাহবুব তালুকদার বলেন, “ঢাকা শহরের মেয়রদের নগরপিতা বলা হয়। বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের অনুরূপভাবে নগরভ্রাতা বলা যেতে পারে। ভাইয়ের মতোই সুখে-দুঃখে তারা নাগরিকদের পাশে থাকবেন। এই তো সবার প্রত্যাশা।

আচরণবিধি ভঙ্গ করে কেউ অবৈধ উপায়ে যাতে কেন্দ্র দখল না করতে পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক ও সচেতন থাকার নির্দেশ দেন তিনি।

নির্বাহী হাকিমদের ‘দৃশ্যমান’ বিচারের আহ্বান জানাতে রবিঠাকুরের পঙক্তি তুলে ধরেন কবি ও গল্পকার মাহবুব তালুকদার।

“বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, আপনাদের বিচারিক সক্ষমতার প্রতি আমাদের আস্থা আছে। রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে’। এই হতাশাব্যঞ্জক উক্তি থেকে বেরিয়ে এসে দৃশ্যমান বিচারের মাধ্যমে সেই কান্না আপনারা মুছিয়ে দেবেন। এটাই জনপ্রত্যাশা। অনিয়মের আচ্ছাদনে অযোগ্য প্রার্থীরা যেন নির্বাচনে জয়ী না হন।”

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মাহবুব তালুকদার বলেন, “সরকার ও স্থানীয় সরকার পরিচালনার স্তরে স্তরে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হয়। রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে যারা দেশ পরিচালনা করবেন, নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের বেছে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় আপনারা বিশেষ দায়িত্ব পালন করছেন। এ দায়িত্বটি অত্যন্ত গৌরবজনক।”

আগারগাঁওয়ের ইটিআই ভবনে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী হাকিমদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় সিইসি কে এম নূরুল হুদাসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররাও উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি বলেন, ঢাকার এই সিটি নির্বাচনে যেন ‘জাতীয় নির্বাচনের মতো সুষ্ঠু’ হয়।