‘আমি সালেক না, তখন কেউ বিশ্বাস করেনি’

অপরাধী না হয়েও আসামি হয়ে ৩ বছর ধরে কারাগারে থাকা জাহালম শুনেছেন তার মুক্তির আদেশের খবর।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Jan 2019, 07:09 PM
Updated : 3 Feb 2019, 07:47 PM

সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে দুদকের ৩৩টি মামলার আসামি আবু সালেকের বদলে ‘ভুলে’ কারাগারে রয়েছেন জাহালম।

তিনি যে আসল অপরাধী নন, তা হাই কোর্টের হস্তক্ষেপে বেরিয়ে আসার পর বুধবার জাহালমকে হাজির করা হয় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ।

এজলাসে উপস্থিত আইনজীবী পারভেজ আতিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ সময় উপস্থিত এক সাংবাদিককে জাহালম বলেন, ‘আমি যে সালেক না, তা তখন কেউ বিশ্বাসই করেনি’।”

জাহালম বলেন, তার বড় ভাই শাহানূরের কাছ থেকে তিনি জানতে পেরেছেন, যে কোনো দিন কারাগার থেকে মুক্ত হবেন তিনি।

বুধবার জাহালমের সঙ্গে আদালতে ছিলেন মামলার আরেক আসামি নজরুল ইসলাম সাগর। তিনি মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হককে কারাগারে বলেছিলেন, বন্দি ব্যক্তির নাম জাহালম, আবু সালেক নয়।

দুই বছর আগে একই আদালতে জাহালম দাবি করেছিলেন, তিনি সালেক নন। তবে তখন তাকে কেউ বিশ্বাস করেনি।

তবে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় তদন্তে এখন নিরপরাধ বলে প্রমাণিত হয়েছেন জাহালম।

জাহালমের খবর  সংবাদপত্রে দেখে সোমবার হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে দুদক চেয়ারম্যানের মনোনীত প্রতিনিধি, মামলার বাদী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবের মনোনীত প্রতিনিধি ও আইন সচিবের একজন প্রতিনিধিকে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি তলব করে এই ঘটনার ব্যাখ্যা দাবি করে।

কারাগারে থাকা ‘ভুল’ আসামি জাহালমকে কেন অব্যাহতি দেওয়া হবে না এবং তাকে মুক্তি দিতে কেন ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় হাই কোর্টের রুলে।

ঘটনা প্রকাশের পর দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ মঙ্গলবার দুঃখ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বলেন, জাহালম যখন কারাগার থেকে বেরিয়ে যাবেন, তখন আরেকটা অনুসন্ধান করে মামলা হাতে নেওয়া হবে। এ ঘটনা কীভাবে হল, কার কারণে হল, তাও খুঁজে বের করা হবে।

৩৩টি মামলায় চারটি মামলায় জাহালমের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ইতোমধ্যে প্রত্যাহার হয়ে গেছে।