রোহিঙ্গাদের অবশ্যই ফেরত নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

মিয়ানমারকে অবশ্যই নিপীড়নের মুখে রাখাইন থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয়ে থাকা লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Jan 2019, 09:40 AM
Updated : 30 Jan 2019, 09:40 AM

রোহিঙ্গাদেরকে নিজ দেশে দ্রুত প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার উপরও জোর দিয়েছেন তিনি।

ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও পররাষ্ট্র উপমন্ত্রী নগুয়েন কুক জুং বুধবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এসব কথা বলেন।

সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গাদেরকে তাদের নিজ বাসভূমে প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, তবে তার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হচ্ছে।

কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের সাময়িকভাবে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হচ্ছে বলেও এসময় তিনি জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনাম দুই দেশই তাদের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছে।

তিনি দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ শক্তিশালী করা এবং ব্যবসা ও বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

দুই দেশের মধ্যে কৃষি খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর উপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে কৃষি খাতের উন্নয়ন করা সম্ভব।

সাক্ষাতে ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত মানবিক বিবেচনায় মিয়ানমারের কয়েক লাখ নাগরিককে আশ্রয় দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের প্রশংসা করেন।

রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত বলেন, এটা বাংলাদেশের জন্য একটি বিরাট সমস্যা।

বাংলাদেশের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এ সমস্যা মোকাবেলায় ভিয়েতনাম সরকার বাংলাদেশকে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার দেবে।

ভিয়েতনামের দূত টানা তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ায় শেখ হাসিনাকে তার দেশের প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন পৌঁছে দেন।

এ সময় তিনি ভিয়েতনাম সফরের জন্য তার দেশের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণও শেখ হাসিনাকে পৌঁছে দিন।

ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের নৌবাহিনী প্রধান রিয়াল এডমিরাল পাইলট সাঈদ বিন হামদান আল নাহিয়ান প্রধানমন্ত্রীর সংগে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

বৈঠকে তারা প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের নৌবাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন।

আমিরাতের নৌবাহিনীতে জনবল সংকটের কথা উল্লেখ করে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেন।

আমিরাতের নৌবাহিনী প্রধান বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ খাতে বিনিয়োগে তার দেশের আগ্রহের কথা বলেন।