সংশোধন হয়ে যান: ভেজালকারীদের মেয়রের হুঁশিয়ারি

খাদ্যে ভেজালবিরোধী অভিযান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, ‘খাদ্যে বিশুদ্ধতা না ফেরা পর্যন্ত’ এই অভিযান চলবে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Jan 2019, 12:10 PM
Updated : 24 Jan 2019, 12:10 PM

যারা ভেজাল খাবার বিক্রি করে মানুষকে ঠকাচ্ছেন, তাদের হুঁশিয়ার করে তিনি বলেছেন, “হোটেল, রেস্তোরাঁর মালিক এবং সংশ্লিষ্টদের বলব, খাদ্যে ভেজাল বিষয়ে আপনারা সংশোধন এবং সতর্ক হয়ে যান। অন্যথায় আপনাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সপ্তাহব্যাপী  ভেজালবিরোধী অভিযান শেষ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার নতুন করে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। বেইলি রোডে সেই অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়রের এই হুঁশিয়ারি আসে।

তিনি বলেন, খাদ্যে ভেজালের বিষয়টি জনগণের উৎকণ্ঠার কারণ হয়ে উঠেছে। ভেজাল ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র, তাতে নাগরিকদের স্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ছে।

“১৪ জানুয়ারি থেকে আমরা ভেজালবিরোধী অভিযান শুরু করেছি। এই শহরের খাদ্যে বিশুদ্ধতা ফিরে না আসা পর্যন্ত আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

মেয়র বলেন, আগে ভেজালবিরোধী অভিযানে শুধু আর্থিক জরিমানা করা হত। এখন আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

“অনেক জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছি। সেই সঙ্গে আর্থিক জরিমানা, অনেকের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল, এবং বিভিন্ন রেস্তোরাঁ সীলগালা করে দেওয়া হয়েছে। নাগরিকরা আমাদের অভিযান নিয়ে সাধুবাদ জানানোর পাশাপাশি এটি অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেছেন।

“তাই আবারও ভেজালবিরোধী অভিযান শুরু করছি। খাদ্যে ভেজাল বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে না আনা পর্যন্ত আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”

অভিযানের শুরুতে মেয়র বেইলি রোডের ‘নবাবী ভোজ রেস্তোরাঁ’য় গিয়ে ভেতরের পরিবেশ ঘুরে দেখেন এবং খাদ্যে ভেজাল বা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি না করতে রেস্তরাঁর সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।

সাঈদ খোকন বলেন, “আমাদের অভিযান শুধু রেস্তোরাঁগুলোতে সীমাবদ্ধ থাকবে না, পাশাপাশি যারা ওষুধের দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করছেন, তাদের বিরুদ্ধেও আমাদের অভিযান চলবে।”

ঢাকা দক্ষিণ সিটির এই ভেজালবিরোধী অভিযানে নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর, র‌্যাব, বিএসটিআই,ঔষধ প্রশাসন পরিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা সহায়তা করছে।

দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন, নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি তুষার আহমেদ, র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান, বিএসটিআইয়ের প্রতিনিধি আজহারুল হক, ঔষধ প্রশাসন পরিদপ্তরের প্রতিনিধি মাহবুব হোসেনও বেইলি রোডে অভিযান শুরুর সময় উপস্থিত ছিলেন।