মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের একটি অংশকে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার কাছে মেঘনার মোহনার ওই দ্বীপে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ সরকার ।
ইতোমধ্যে পঁচিশ হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করার মত আবাসন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা ওই দ্বীপে তৈরি হয়েছে বলে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
মোটামুটি ১০ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের জন্য ১২০টি গুচ্ছ গ্রামে ১৪৪০টি ব্যারাক হাউজ ও ১২০টি আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে এখন।
রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি দেখতে মিয়ানমারে যাওয়ার কথা ছিল ইয়াংহি লির। কিন্তু পক্ষপাতের অভিযোগ এনে মিয়ানমার তাকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি।
এই পরিস্থিতিতে গত শনিবার বাংলাদেশে আসেন বিশেষ দূত।এরপর গত কয়েক দিন তিনি কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবির ঘুরে দেখেন।
সফরে শেষে ফিরে যাওয়ার আগে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে নিজের অভিজ্ঞতা জানাবেন ইয়াংহি লি।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল ২০১৪ সালের জুনে দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক ইয়াংহি লিকে মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দেয়। এই দায়িত্বে তিনি কোনো রাষ্ট্র বা সংস্থার অধীন নন।