মঙ্গলবার শাহবাগ থানায় দুদকের উপ-পরিচালক সুভাষ চন্দ্র দত্ত বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
আসামিদের মধ্যে ৪৩ জন হলেন স্থানীয় ব্যক্তি, যারা ওই রাস্তাটি পরিত্যক্ত জায়গা দেখিয়ে দোকান হিসেবে বরাদ্দ পেয়েছেন।
বাকি আসামিরা হলেন- দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সার্ভেয়ার (সাময়িক বরখাস্ত) মুহাম্মদ মুরাদ হোসেন, সার্ভেয়ার (সাময়িক বরখাস্ত) মুহাম্মদ বাচ্চু মিয়া, কানুনগো (সাময়িক বরখাস্ত) মোহাম্মদ আলী, সিটি করপোরেশনের সাবেক সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ দিদারুল আলম (বর্তমানে উপ-সচিব ও উপ প্রকল্প পরিচালক, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউরেশন সেন্টার প্রকল্প) ও করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক ও অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. খলিলুর রহমান।
মামলার এহাজারে বলা হয়, দোকান হিসেবে বরাদ্দ পাওয়া ৪৩ জন আসামি ও মৃত আব্দুর রশিদ ২০১১ সালে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মালিকানাধীন ওই জায়গা দীর্ঘদিন খালি, পরিত্যক্ত ও নোংরা অবস্থায় আছে উল্লেখ নিজ খরচে দোকান নির্মাণের অনুমতি চেয়ে কর্পোরেশনের প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন।
রাস্তা হিসেবে রেকর্ড ওই জায়গা কোনোভাবেই ইজারা দেওয়া যায় না উল্লেখ করে এজাহারে বলা হয়, “আসামিরা জমির শ্রেণি রাস্তা হিসেবে উল্লেখ না করে শুধু জায়গার অবস্থান বর্ণনা করে বরাদ্দ পেয়েছেন।”
“আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে রাস্তা ৪৪ জন আবেদনকারীকে বিধি বহির্ভূতভাবে বরাদ্দ দিয়ে জনগণের ক্ষতি করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন,” বলা হয় এজাহারে।