উপজেলা ভোট মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরুর পরিকল্পনা

পঞ্চম উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে ভোট ৮ মার্চ অথবা ৯ মার্চ করার পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Jan 2019, 02:30 PM
Updated : 22 Jan 2019, 02:30 PM

কোন ধাপে  কোন বিভাগের উপজেলায় ভোট হবে, সেই সিদ্ধান্ত ৩ ফেব্রুয়ারি কমিশন সভায় বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশন সভার পর একথা জানান তিনি।

ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, “সারাদেশে ৫ ধাপে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন হবে। প্রথম ধাপের ভোট হবে ৮/৯ মার্চ। ৭-৮ দিন পর পর দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের ভোট হবে। পঞ্চম ধাপের ভোট হবে পরীক্ষা ও রমজান শেষে ঈদের পর।”

উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে ১৮ মার্চ, তৃতীয় ধাপে ২৪ মার্চ ও চতুর্থ ধাপে ৩১ মার্চ ভোট করার প্রস্তাব রয়েছে ইসি সচিবালয়ের।

বাংলাদেশে বর্তমানে ৪৯২টি উপজেলা পরিষদ রয়েছে। সর্বশেষ ২০১৪ সালের মার্চ-মে মাসে ছয় ধাপে এর অধিকাংশগুলোতে ভোট হয়েছিল।

আইনে মেয়াদ শেষের পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা থাকায় এই নির্বাচন হচ্ছে।

১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদ চালু হওয়ার পর ১৯৯০ ও ২০০৯ সালে একদিনেই ভোট হয়েছিল। ২০১৪ সালে ছয় ধাপে ভোট করেছিল তৎকালীন ইসি।

ইসি সচিব এর আগে জানিয়েছিলেন, আট বিভাগের উপজেলাগুলোতে চার দিনে ভোটগ্রহণ হবে। বাকিগুলোতে ভোট হবে পঞ্চম ধাপে।

সদর উপজেলাগুলোতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

‘ভোটে কে এল না, তা ইসির বিবেচ্য নয়’

সংসদ নির্বাচনের পর দলীয় প্রতীকে উপজেলা ভোটে বিএনপির অংশগ্রহণ নিয়ে এখনও ঘোষণা আসেনি। গুঞ্জন রয়েছে সংসদ নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যানের পর দলটি উপজেলা ভোটে অংশ নেবে না।

এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন বলেন, “স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আগামী মে মাসের মধ্যে উপজেলার মেয়াদউত্তীর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারের ভোটে কে এল, কে এল না, তা ইসির বিবেচ্য বিষয় নয়।”