প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে প্রধান করে সাত সদস্যের এই কমিটি করা হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান।
তিনি বলেন, “সরকারের শেষ সময় কমিটি করা হয়েছিল, মন্ত্রী পরিবর্তন হয়ে যাওয়ায় ওই কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে।”
পুনর্গঠিত কমিটিতে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ন, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ানকে সদস্য করা হয়েছে।
নবম মজুরি বোর্ডের সুপারিশ পর্যালোচনায় গত ৩ ডিসেম্বর ওই সময়ের সংস্কৃতিমন্ত্রীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করে দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। ওই কমিটিতে শিল্পমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রীকে রাখা হয়েছিল।
আগের কমিটির সদস্যদের মধ্যে শুধু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুর জায়গা হয়নি নতুন মন্ত্রিসভায়।
আগের কমিটির চারজন সদস্য মন্ত্রিসভায় না থাকায় ওই কমিটির সভা করা যায়নি বলে নতুন তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ রোববার এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন।
প্রস্তাবিত নতুন কাঠামোতে পাঁচটি শ্রেণিতে ১৫টি বেতনক্রম নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে জানিয়ে শফিউল এর আগে বলেছিলেন, প্রথম তিন গ্রেডে ৮০ শতাংশ এবং শেষের তিন গ্রেডে ৮৫ শতাংশ বেতন বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
এর আহে ২০১৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকদের মূল বেতন ৭৫ শতাংশ বাড়িয়ে অষ্টম মজুরি কাঠামো ঘোষণা করে সরকার, যা ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর ধরা হয়।
আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হককে প্রধান করে গত ২৯ জানুয়ারি ১৩ সদস্যের নবম ওয়েজবোর্ড গঠন করা হয়।
এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর সংবাদপত্র ও বার্তা সংস্থার কর্মীদের জন্য মূল বেতনের ৪৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করে সরকার, যা গত ১ মার্চ থেকে কার্যকর করার কথা বলা হয়।
নবম ওয়েজবোর্ডের প্রধান বিচারপতি নিজামুল হক গত ৪ নভেম্বর সচিবালয়ে তখনকার তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর কাছে প্রতিবেদন জমা দেন।
২০১৫ সালে সরকারি কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণার পর থেকেই নতুন বেতন কাঠামোর দাবি জানিয়ে আসছিল সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো। এ দাবিতে তারা বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করেছেন।