ভারতীয় কোম্পানির ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলে সমস্যা: স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী

শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো স্থগিতের পেছনে সমস্যার কথা স্বীকার করে এর জন্য ভারতীয় একটি কোম্পানিকে দায়ী করেছেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Jan 2019, 04:39 PM
Updated : 18 Jan 2019, 04:41 PM

শুক্রবার কিশোরগঞ্জে ক্যাপসুলের নমুনা দেখে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ভারতীয় একটি কোম্পানির সরবরাহ করা লাল রঙের ক্যাপসুলে সমস্যা।

“এসব ক্যাপসুল কৌটার সঙ্গে লেগে থাকে, আলাদা করা যাচ্ছে না। এখন ক্যাপসুলের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। ক্যাপসুলের মান পরীক্ষা করে প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ভারতীয় ওই কোম্পানি আদালতে মামলা করে তাদের কাজটি দিতে ‘সরকারকে বাধ্য করেছিল’ বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী মুরাদ।

শনিবার সারা দেশে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সী দুই কোটির বেশি শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা ছিল। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই কর্মসূচি স্থগিতের কথা জানায় জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান।

বিজ্ঞপ্তিতে কর্মসূচি স্থগিতের কোনো কারণ জানানো না হলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, “ক্যাপসুলের টেকশ্চারে সমস্যা থাকায় শনিবারের কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।

“কয়েক জায়গায় খুলে দেখা গেছে, ক্যাপসুলগুলো একটির সঙ্গে আরেকটি লেগে আছে। তবে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ওষুধের মানের কোনো সমস্যা ছিল না।”

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান দুপুরে কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউজে জেলা সিভিল সার্জনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ভিটামিন এ ক্যাপসুলের নমুনা দেখেন।

তিনি জানান, লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুলগুলো ভারতের মুম্বাইয়ের একটি কোম্পানির সরবরাহ করা। আর নীল রঙের ক্যাপসুলগুলো বাংলাদেশের একটি কোম্পানি সরবরাহ করে।

“নীল রঙের ক্যাপসুলগুলোর মান ভালো রয়েছে। সমস্যা শুধু লাল রঙের ক্যাপগুলোয়।”

ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইনে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের ১টি করে নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ১টি করে লাল রঙের ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা ভারতীয় কোম্পানিকে কাজটি দিতে চাইনি। তারা মামলা করায় সরকার তাদের কাজটি দিতে বাধ্য হয়েছিল।”

তিনি জানান, এ ক্যাপসুল কেনার কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৬ সালে। প্রথমে একটি দেশি ওষুধ কোম্পানি সরবরাহের কার্যাদেশ পেয়েছিল। কিন্তু ওই কার্যাদেশের বিরুদ্ধে আদালতে যায় ‘অ্যাজটেক’ নামে ভারতীয় কোম্পানিটি। আদালত ওই ভারতীয় কোম্পানিকে ক্যাপসুল সরবরাহের কাজ দেওয়ার নির্দেশ দেয়।এরপর তারা লাল রঙের এই ক্যাপসুল সরবরাহ করে।