স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষকের দুই ভাই-তিন শ্যালককে দুদকে তলব

‘সিন্ডিকেট করে’ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দরপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অর্থপাচারের ঘটনায় অধিদপ্তরের এক হিসাব রক্ষকের সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে তার দুই ভাই ও তিন শ্যালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Jan 2019, 05:11 PM
Updated : 5 Sept 2019, 05:16 AM

এই পাঁচজনও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মী। বুধবার অভিযোগ অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলমের সই করা নোটিসে আগামী ২২ জানুয়ারি তাদের দুদক প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বলা হয়।

তারা হলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওই হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবজাল হোসেনের দুই ভাই ফরিদপুর টিবি হাসপাতালের ল্যাব সহযোগী মো. বেলায়েত হোসেন ও মো. লিয়াকত হোসেন; এবং আবজালের তিন শ্যালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাখালী অফিসের গাড়ি চালক মো. রফিকুল ইসলাম, একই অফিসের উচ্চমান সহকারী মো. বুলবুল ইসলাম ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অফিস সহকারী মো. শরিফুল ইসলাম।

এর আগে গত ১০ জানুয়ারি আবজাল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।

এছাড়া গত সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (বাজেট) ডা. আনিসুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে অনুসন্ধান কর্মকর্তা।

দরপত্র জালিয়াতি করে সরকারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও অর্থপাচারের সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (লাইন ডিরেক্টর) ডা. কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন ও লাইন ডিরেক্টর (চিকিৎসা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি) অধ্যাপক ডা. আবদুর রশীদকে তলব করেছিল দুদক।

কিন্তু তারা অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দুদকে হাজির হতে সময় চেয়ে আবেদন করেছেন।

এদিকে হিসাব রক্ষক আবজালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে সম্প্রতি তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এদিকে ওই ‘সিন্ডিকেটের’ দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে আবজাল হোসেনের স্ত্রী রুবিনা খানমকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে গত বৃহস্পতিবার নোটিস দিয়েছে দুদক। রুবিনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ১৯৯৮ সালে স্টেনোগ্রাফার হিসেবে যোগ দেন। এরপর ২০০০ সালে চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে ‘রহমান ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল’ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গড়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে ব্যবসা শুরু করেন।