তার দেশের মানুষও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে খুব পছন্দ করেন বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই সৌজন্য সাক্ষাতে ইরানের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন রাষ্ট্রদূত নাফার।
সাক্ষাত শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের ‘জ্ঞানী ও দূরদর্শী’ প্রধানমন্ত্রী অভিহিত করে নাফার বলেন, “ইরানের জণগণ আপনাকে খুব পছন্দ করে।”
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতি পাওয়ায় অভিনন্দন জানান তিনি।
ইরানের রাষ্ট্রদূত বলেন, পশ্চিমা অবরোধ সত্ত্বেও ইরান ‘এগিয়ে চলছে’।
ওই অঞ্চলে উত্তেজনা কমাতে তাদের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজ করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা যুদ্ধ প্রবণ দেশ না।”
উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা কমাতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কোনো উদ্যোগ নিলে ইরান তা স্বাগত জানাবে বলে মন্তব্য করেন নাফার।
নতুন দায়িত্ব নেওয়া ইরানের রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে ন্যাম ও ওআইসি সম্মেলনে যোগ দিতে ২০১২ ও ১৯৯৭ সালে নিজের ইরান সফরের কথা স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।
দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সাযুজ্যের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ বলেও জানান শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রসঙ্গে গ্রামের উন্নয়নের পাশাপাশি ‘ধর্মীয় সম্প্রীতির’ কথাও তুলে ধরেন তিনি।
সৌজন্য সাক্ষাতে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান ও কার্যালয় সচিব সাজ্জাদুল হাসান।