নাজমুল হককে দেওয়া জামিনের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই রায় দেয়।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নাজমুলকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুন্নেছা রত্না। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শেখ মো. মোর্শেদ।
গত বছরের ১৩ আগস্ট ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত নাজমুলকে ৫০ হাজার টাকা বন্ডে জামিন দিয়েছিলেন।
সেই আদেশের বিরুদ্ধে গত বছরের ১৬ অক্টোবর দুদক হাই কোর্টে রিভিশন আবেদন করে। পরে দুদকের এ আবেদনের শুনানি নিয়ে ২২ অক্টোবর আদালত তার জামিনের বৈধতা প্রশ্নে রুল জারি করে।
আমিন উদ্দিন বলেন, “সে রুলটিই যথাযথ ঘোষণা করে আজ রায় দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।”
নাজমুল হক মেসার্স সৈয়দ শিপিংয়ের নকশা অনুমোদন ও নৌ-যানের নামকরণের জন্য ওই কোম্পানির মালিক জালাল উদ্দিনের কাছে ৫ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
গত বছরের ১২ এপ্রিল ঘুষের টাকাসহ নাজমুলকে আটকের কথা জানায় দুদক। ওই দিনই দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল ওয়াদুদ শাহবাগ থানার মামলা করেন।
সাবেক মন্ত্রীর এপিএসের জামিন বাতিল
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে দুদকের করা মামলায় সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) সত্যজিত মুখার্জির জামিন বাতিল করেছে হাই কোর্ট।
তার স্থায়ী জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ রায় দেয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। দুদকের পক্ষে শুননি করেন আইনজীবী এস এম আবদুর রউফ।
সাবেক ছাত্রীলীগ নেতা সত্যজিত মুখার্জির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না আদালতে।
খোন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী থাকাকালে তার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) সত্যজিত মুখার্জির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠে।
২০১৫ সালের ১৬ এপ্রিল সত্যজিতকে সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) থেকে বাদ দেওয়া হয়। তখন খন্দকার মোশাররফ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।
ওই দিনই বিকেলে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগ জরুরি সভা করে সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপ, ঘুষ, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে সত্যজিৎকে জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদ ও সাধারণ সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করে।
এপিএস ও ছাত্রলীগের পদ চলে যাওয়ার চারদিন পর অর্থাৎ ২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল সত্যজিতের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ঘুষ লেনদেনসহ নানা অভিযোগে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় প্রথম মামলা হয়।
পরে ওই বছরের ২২ আগস্ট রাতে রাজধানী ঢাকার নাখালপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে সত্যজিত মুখার্জিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার একটি দল।
পরে দুদকের উপ-পরিচালক কে এম মিছবাহ উদ্দিন বাদী হয়ে রমনা থানায় সত্যজিতের বিরুদ্ধে মামলা করেন।