তিনি বলেছেন, “সরকার তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে এবং এ বিষয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।”
ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজদের ৩৮তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী একথা বলেন বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেককে দেশে ফিরিয়ে এনে তার দণ্ড কাযর্করের উদ্যোগ নেওয়ার কথা এর আগেও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তবে তার কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক একুশে অগাস্টের গ্রেনেড হামলার মামলা, জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা এবং মুদ্রা পাচারের এক মামলায় দণ্ডিত। দেশে ফিরলে তাকে যাবজ্জীবন সাজা খাটতে হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, “যে কোনো অপরাধী যারা বিদেশে পালিয়ে আছেন তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা খাটানোর ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত তৎপর।”
দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চূড়ান্ত নিষ্পত্তিতে উদ্যোগ নেওয়ার কথাও বলেন আনিসুল হক।
তিনি বলেন, “আপিলে থাকা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাগুলো দ্রুত কার্য তালিকায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
আদালতে বিচারপ্রার্থীদের ভিড় ও মামলা জট কমাতে জনগণকে নিজ উদ্যোগে বিরোধ মীমাংসা করতে উদ্বুদ্ধ করার জন্য বিচারকদের পরামর্শ দেন আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “জনগণ যাতে আদালতের বাইরে বিরোধ নিষ্পত্তি করে সে বিষয়ে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তাদেরকে ভালভাবে বোঝাতে পারলে তারা এটিকে গুরুত্ব সহকারে নেবেন এবং সেই চেষ্টা করবেন।
”উন্নত দেশগুলোতে মামলা বা বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আদালতের বাইরে বিরোধ নিষ্পত্তির পরামর্শ দেয় সেসব দেশের আদালতগুলো।”
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিচার বিভাগের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অবদানের কথা তুলে ধরেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক।
আরও খবর