বিএসটিআইয়ে নিয়োগে দুর্নীতির ‘প্রমাণ’ পেয়েছে দুদক

পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বিএসটিআইয়ে অফিস সহায়ক ছয়টি পদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ‘জালিয়াতির প্রমাণ’ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Jan 2019, 02:38 PM
Updated : 13 Jan 2019, 02:38 PM

প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর দুদক দাবি করেছে, এ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে বিএসটিআইয়ের পরিচালক (প্রশাসন) মো. খলিলুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জড়িত।

রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে অনুসন্ধান প্রতিবেদনটি বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশনের (বিএসটিআই) মহাপরিচালক (ডিজি) মো. মুয়াজ্জেম হোসাইনকে পাঠানো হয়।

দুদক মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী এই প্রতিবেদনটি পাঠিয়েছেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ নিয়োগ নিয়ে শিগগিরই আমাদের নিয়মিত অনুসন্ধান শুরু হবে। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং নিয়োগ বাতিল করারও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিএসটিআইর পরিচালক (প্রশাসন)  এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন বলে জানান তিনি। তবে অনুসন্ধানের আগে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে তিনি রাজি হননি।

দুদকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সম্প্রতি বিএসটিআইয়ের অফিস সহায়ক পদের নিয়োগ পরীক্ষার টেবুলেশন শিট জালিয়াতির মাধ্যমে নম্বর পরিবর্তন করে ছয়জনকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দিতে চূড়ান্ত করা হয়। টেবুলেশনশিটে নিয়োগ কমিটির একজন সদস্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করা হয়। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও তাকে নিয়োগে অযোগ্য করা হয়।”

২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত ওই নিয়োগের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত হয়।
দুদকের ওই কর্মকর্তা বলেন, হটলাইনে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জালিয়াতির অভিযোগ পেয়ে বিএসটিআইয়ে দুই দফায় অভিযান চালিয়েছিল দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম।

সংস্থার সহকারী পরিচালক শেখ গোলাম মাওলা, উপসহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া ও মো. আবুল কালাম আজাদের সমন্বয়ে গঠিত দল এই অভিযানে অংশ নেন।