বিশ্বকে ‘তাক লাগিয়ে’ দিতে চান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম নিজের এলাকা কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে গিয়ে গ্রামে-গঞ্জেও উন্নত জীবনের সুযোগ-সুবিধা পৌঁছানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তাজুল ইসলাম।

কাজী এনামুল হক কুমিল্লা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Jan 2019, 03:51 PM
Updated : 11 Jan 2019, 05:00 PM

তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাদের লক্ষ্য হল ‘উন্নত বাংলাদেশ’ গড়া।এই লক্ষ্য অর্জনে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করার কথা উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, “আমি আমার সচিবালয়ের সচিবরাসহ, সরকারি কর্মকর্তারা একসাথে আমরা ইতোমধ্যে কাজ আরম্ভ করেছি।

“ইনশাল্লাহ, আগামী পাঁচ বৎসর হবে বাঙালি জাতির অত্যন্ত চমকপ্রদ পাঁচ বছর এবং সারা পৃথিবীকে তাক লাগায়ে দেওয়ার মতো পাঁচ বছর। গ্রামে-গঞ্জে সর্বত্র উন্নত জীবনযাপনের সকল সুবিধা ইনশাল্লাহ পৌঁছাই দিব।”

গার্মেন্ট ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। মনোহরগঞ্জ ও লাকসাম নিয়ে গঠিত কুমিল্লা-৯ আসন থেকে এর আগেও তিনবার সাংসদ হলেও এবারই প্রথম মন্ত্রিসভায় এসেছেন তিনি।

গত এক দশক বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগের এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করার লক্ষ্য ঘোষণা করা হয়। ২০৪১ সালের মধ্যে ‘উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশের’ স্বপ্ন দেখানো শেখ হাসিনার দলের এই ইশতেহারে আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামে শহরের সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে দেওয়ারও অঙ্গীকার করা হয়।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার এই লক্ষ্য থেকে বিচ্যুৎ হবে না মন্তব্য করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল বলেন, “উন্নত বাংলাদেশ গড়ার জন্য যে লক্ষ্য সেই লক্ষ্যে আমরা পৌঁছব। বাংলাদেশ আমরা বলেছি হংকং-সিঙ্গাপুরের মতো দেশ হবে, সে লক্ষ্য বাংলাদেশ ইনশাল্লাহ বিচ্যুৎ হবে না যতক্ষণ শেখ হাসিনার নেতৃত্ব অব্যাহত থাকবে।

‘উন্নত বাংলাদেশ’ গড়তে গ্রাম-গঞ্জে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কোটি কোটি মানুষের জীবন মানের উন্নয়নের বিকল্প নেই বলে মনে করেন মন্ত্রী।

“গ্রামকে উন্নত করতে না পারলে শহর উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত বাংলাদেশ গড়া যাবে না,” বলেন তিনি।

গত রোববার মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর শুক্রবার প্রথম নিজের নির্বাচনী এলাকায় এলেন তাজুল ইসলাম।কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ-লাকসামের সড়কে পৌঁছালেই তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে থাকেন নেতাকর্মীরা।

পরে মনোহরগঞ্জ উপজেলা ভবন চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পরে মন্ত্রী নিজের বাড়ি মনোহরগঞ্জে মা-বাবার কবর জেয়ারত এবং দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এ সময় কুমিল্লার জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলামসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।