এরশাদ আর প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত নেই

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য স্পিকারের অনুমোদন পাওয়ার পর আর প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত নন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Jan 2019, 03:17 PM
Updated : 12 Jan 2019, 10:42 AM

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এক আদেশে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ৭ জানুয়ারি নিজের ‘বিশেষ দূত’ হিসেবে এরশাদের নিয়োগের ‘অবসান’ ঘটিয়েছেন। বৃহস্পতিবার জারি করা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওই আদেশ শুক্রবার প্রকাশ করা হয়েছে।

গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পর টানা তৃতীয়বারের মত সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ এককভাবে পেয়েছে ২৫৭টি আসন, আর তাদের জোটসঙ্গী জাতীয় পার্টি ২২টি আসন পেয়ে হয়েছে প্রধান বিরোধী দল।

আওয়ামী লীগ ও শরিক দলের নির্বাচিতরা গত ৩ জানুয়ারি সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেও মাত্র সাতটি আসন পাওয়া বিএনপি ও শরিকরা ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করে শপথ না নেওয়ার কথা বলেছে।

গতবার বিরোধী দলের পাশাপাশি সরকারের মন্ত্রিসভাতেও ছিল জাতীয় পার্টি। এ কারণে ‘গৃহপালিত বিরোধী দল’ আখ্যা পেতে হয়েছিল এরশাদের দলকে।

এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ ছিলেন সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা। আর জাতীয় পার্টির তিন নেতা ছিলেন সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য।

২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে নাটকীয় অসুস্থতা নিয়ে এরশাদ ভর্তি হয়েছিলেন সিএমএইচে। কিন্তু সেখানে ভর্তি থাকা অবস্থায় এমপি নির্বাচিত হন সাবেক এই সামরিক শাসক। মন্ত্রীর মর্যাদায় তাকে নিজের বিশেষ দূত করে নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এবার জাতীয় পার্টি বা মহাজোটের শরিক অন্য কোনো দলের কেউ আওয়ামী লীগের সরকারে জায়গা পায়নি। গত ৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা শপথ নেওয়ার পর আগের মন্ত্রিসভা বিলুপ্ত হয়ে যায়, সেই সঙ্গে বাদ পড়েন তার উপদেষ্টারা।

এরপর গত বৃহস্পতিবার কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী এরশাদকে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার এবারের মন্ত্রিসভা সাজিয়েছেন ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী এবং তিনজন উপমন্ত্রী নিয়ে। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে নিজের ‍উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেননি তিনি।