শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ৩৩তম জাতীয় কবিতা উৎসবের কর্মসূচি ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি তোলেন সংগঠনের কবিরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত বলেন, “আমরা জাতীয় কবিতা পরিষদের পক্ষ থেকে ইতোপূর্বে বেশ কয়েকবার পহেলা ফেব্রুয়ারিকে সরকারিভাবে জাতীয় কবিতা দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়েছি। এ বিষয়ে পুনর্বার সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাই।”
বিগত বছরগুলোর মত এবারও ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পাশে হাকিম চত্বরে বসছে কবিতা উৎসবের আসর। দুদিনব্যাপী এ আয়োজনে অংশ নেবেন দশটি দেশের কবিরা।
কবি তারিক সুজাত বলেন, “জাতীয় কবিতা উৎসব- কবিতার বৃহত্তম এই ঐতিহ্যবাহী আয়োজন শুধু বাংলাদেশের নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এক অনন্য উৎসব; যা ইতোমধ্যে সারাবিশ্বে বিশেষ মর্যাদা অর্জন করেছে।”
গত শতকের আশির দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় জাতীয় কবিতা পরিষদের জন্মের ক্ষেত্র তৈরি হয়। ১৯৮৭ সালে প্রথম কবিতা উৎসবের নেতৃত্ব দেন কবি শামসুর রাহমান।
তারিক সুজাত বলেন, “১৯৮৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত পৃথিবীর নানা দেশের নানা ভাষার কয়েকশ কবি এই উৎসবে অংশগ্রহণ করেছেন। কালের পরিক্রমায় জাতীয় কবিতা উৎসব সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসে আন্তর্জাতিক রূপধারণ করেছে।
“আমাদের কবিতা উৎসবে অংশ নেওয়া বিদেশি কবিরা স্ব স্ব ভাষায় অনুবাদ করেছেন বাংলাদেশের কবিদের কবিতা। এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের কবিতার পরিধি বিস্তৃত হয়েছে বিশ্বময়।”
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) কবি মুহাম্মদ সামাদ।
জাতীয় কবিতা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবি আনিসুর রহমান সুলতানের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে কবি আসাদ চৌধুরী, কবি আনোয়ারা সৈয়দ হক, কবি আসাদ মান্নান, কবি কাজী রোজী, কবি হারিসুল হক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন।