বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে ওবায়দুল কাদের প্রতিমন্ত্রী পলকের ওই প্রতিশ্রুতির কথা বলেন।
টানা তৃতীয় মেয়াদে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আসা কাদের আগামী ৫ বছরে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বললে সাংবাদিকরা আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর নিয়ম ভাঙার বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম অ্যাজ জেনারেল সেক্রেটারি অফ পার্টি। হি এক্সপ্রেসড হিজ রিগ্রেট ফর ইট এবং সে বলেছে যে ‘ইটস এ মিসটেইক, আমি আর রিপিট করব না’।এ কথাটা খুব খোলামনে স্বীকার করেছে, এরপর তো কিছু বলতে পারি না।”
মোটর বাইকে চড়ে সময়মতো কার্যালয়ে গিয়ে প্রশংসিত হলেও হেলমেট না থাকায় গত মঙ্গলবার সমালোচনার মুখে পড়েন প্রতিমন্ত্রী পলক।
নতুন সরকারে শপথ নেওয়ার পর দিন দুপুরে আগারগাঁওয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে দ্রুত যেতে তিনি মোটরবাইকে সওয়ার হয়েছিলেন। সেই ছবি তিনি নিজের ফেইসবুক পেইজেও পোস্ট করেন। কিন্তু সেই ছবিতে তার মাথায় হেলমেট না থাকায় শুরু হয় সমালোচনা।
প্রটোকলের গাড়ি ছেড়ে প্রতিমন্ত্রী কেন মোটরবাইকে চড়ে দপ্তরে গিয়েছিলেন, তার কারণ জানিয়ে ওইদিন বিকালে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।
সেখানে বলা হয়, সংসদ ভবন থেকে আইসিটি টাওয়ারের উদ্দেশে রওনা হয়ে পলক যানজটে পড়ে প্রটোকল ছেড়ে মোটর সাইকেলে চড়েন।
“সবাইকে অবাক করে পূর্ব নির্ধারিত সময়ে নিজ কর্মস্থলে উপস্থিত হন,” বলা হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
কিন্তু আইনপ্রণেতা হয়েও হেলমেট না পড়ে মোটরযান আইন ভাঙায় ফেইসবুকে পলকের পোস্টেই সমালোচনা করেন অনেকে।
এ প্রসঙ্গে পলক মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তাড়াহুড়ো করে যাওয়ার জন্য আমি যে বাইকের সাহায্য নিয়েছি, তার কাছে কোনো বাড়তি হেলমেট ছিল না। আর ওটা রাইড শেয়ারিংয়ের বাইকও ছিল না, ব্যক্তিগত বাইক ছিল।”
পলকের হয়ে সাংবাদিকদের সামনে প্রতিশ্রুতি দেওয়া ওবায়দুল কাদের নিজেও আড়াই বছর আগে একই কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে গিয়ে কিছু ছবি নিজের ফেইসবুকে পোস্ট করেন সড়কমন্ত্রী কাদের। সেখানে কয়েকটি ছবিতে তাকে হেলমেট ছাড়া বাইকে চড়তে দেখা গেলে ফেইসবুকে প্রতিক্রিয়া এসেছিল তাৎক্ষণিকভাবে।