সাংবাদিক গৌতম হত্যা: হাই কোর্টের রায় ৩০ জানুয়ারি

এক যুগের বেশি সময় আগে ফরিদপুরে সাংবাদিক গৌতম দাস হত্যার ঘটনায় নয় আসামিকে জজ আদালতের দেওয়া যাবজ্জীবন সাজার রায় বহাল থাকবে কি না, ৩০ জানুয়ারি সেই সিদ্ধান্ত দেবে হাই কোর্ট। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Jan 2019, 02:25 PM
Updated : 30 Jan 2019, 08:53 AM

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল শুনানি শেষে বুধবার বিচারপতি এ কে এম আবদুল হাকিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাই কোর্ট বেঞ্চ রায়ের এ তারিখ ঠিক করে দেয়।

দৈনিক সমকালের ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান গৌতমকে ২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর হত্যা করা হয়। দীর্ঘ আট বছর বিচার শেষে ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন ২০১৩ সালে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

আসিফ ইমরান, আসিফ ইমতিয়াজ বুলু, কাজী মুরাদ, কামরুল ইসলাম আপন, আসাদ বিন কাদির, সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, তামজিদ হোসেন বাবু, রাজিব হাসান মিয়া এবং  আবু তাহের মতুর্জা ওরফে অ্যাপোলোকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক।

ওই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা পাঁচটি ফৌজদারি আপিল করেন হাই কোর্টে। সেসব আপিলের ওপর উভয়পক্ষের শুনানি শেষ হয় বুধবার।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুন-অর রশীদ। আসামি সিদ্দিক ও অ্যাপোলোর পক্ষে আইনজীবী হেলালউদ্দিন মোল্লা; আসামি ইমরান, বুলু, আপন ও রাজীবের পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ আলী মোকাররম; বাবুর পক্ষে আইনজীবী আওলাদ হোসেন; আসামি আসাদের পক্ষে আইনজীবী আব্দুর রশীদ ও ওমর ফারুক এবং আসামি মুরাদের পক্ষে আইনজীবী শেখ বাহারুল ইসলাম শুনানি করেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ফরিদপুর শহরের মুজিব সড়কের সংস্কারে অনিয়ম ও দুর্নীতির একটি খবর প্রকাশের জের ধরে ২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর দৈনিক সমকালের ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান গৌতমকে তার কার্যালয়ে ঢুকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।

সমকালের স্থানীয় প্রতিনিধি হাসানউজ্জামান ওইদিনই ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

হত্যাকাণ্ডের দুইমাস পর ২০০৫ সালের ১৯ জানুয়ারি ফরিদপুরের আদালতে ১০ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোলাম নবী।

দশ আসামির মধ্যে জাহিদ নামের একজন ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে মামলা থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়।

অভিযোগপত্র দাখিলের পর ‘স্পর্শকাতর’ বিবেচনায় সরকার ওই বছর এপ্রিলে মামলাটি ফরিদপুর থেকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠায়।

চারজন বিচারকের হাত ঘুরে মামলাটি পরে রায়ের পর্যায়ে আসে। ২০১৩ সালের ২৭ জুন ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন নয় আসামির সবাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।