অরিত্রীর ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনা’ মামলার প্রতিবেদন পিছিয়েছে

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনার’ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পিছিয়ে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Jan 2019, 07:35 AM
Updated : 9 Jan 2019, 07:36 AM

বুধবার নির্ধারিত তারিখে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হলে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী নতুন তারিখ ঠিক করেন বলে সংশ্লিষ্ট আদালত পুলিশের এসআই জালাল আহমেদ জানিয়েছেন।

অরিত্রীর আত্মহত্যায় ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় তার বাবা দিলীপ অধিকারী গত ৪ ডিসেম্বর দণ্ডবিধির ৩০৫ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার প্রধান শিক্ষক জিন্নাত আরা ও শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাকে আসামি করা হয়।

মামলা দায়েরের পরদিন শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর ৯ ডিসেম্বর জামিন পান হাসনা হেনা।

গত ৩ ডিসেম্বর শান্তিনগরে নিজের বাসায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী। তার আগের দিন পরীক্ষায় নকল করার অভিযোগে তাকে পরীক্ষা হল থেকে বের করে দিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ।

স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, অরিত্রী পরীক্ষায় মোবাইল ফোনে নকল নিয়ে টেবিলে রেখে লিখছিল। অন্যদিকে স্বজনদের দাবি, নকল করেনি অরিত্রী।

এরপর অরিত্রীর বাবা-মাকে ডেকে নেওয়া হয় স্কুলে। তখন অরিত্রীর সামনে তার বাবা-মাকে অপমাণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে।  অরিত্রীর স্বজনরা বলছেন, বাবা-মার ‘অপমান সইতে না পেরে’ ঘরে ফিরে আত্মহত্যা করে এই কিশোরী।

তবে অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস শিক্ষার্থী অরিত্রীর অভিভাবকদের অপমান করার কথা অস্বীকার করেন।

অরিত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় রাজধানীর বেইলি রোডের নামি এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে পরে ওই তিন শিক্ষককে সরিয়ে দেওয়া হয়।