তৃতীয় দিনের মত রাস্তায় নেমেছে পোশাক শ্রমিকরা

ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মত রাজধানীতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে পোশাক শ্রমিকরা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Jan 2019, 06:03 AM
Updated : 8 Jan 2019, 10:17 AM

বিমানবন্দর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. মিজানুর রহমান জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টার পর থেকে উত্তরখান ও দক্ষিণখান এলাকার বিভিন্ন গার্মেন্টের শ্রমিকরা জড়ো হয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আসার চেষ্টা করছে।

“তারা বিভিন্ন গার্মেন্টে গিয়ে শ্রমিকদের বের করে আনার চেষ্টা করছে। না আসলে কারখানায় ভাঙচুর করছে। দক্ষিণখান এলাকার নিপা এবং এপিএস গার্মেন্টসে হামলা হামলার খবর পেয়েছি আমরা।”

ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে মঙ্গলবার মিরপুরের কালশীতে ২২ তলা গার্মেন্টসের সামনের রাস্তায় বিক্ষোভ করে পোশাক শ্রমিকরা। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

বেলা পৌনে ১২টার দিকে উত্তরার আবদুল্লাহপুর এলাকায় গার্মেন্ট শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ টিয়ার শেল ছুড়ে তাদের সরিয়ে দেয়।

মিজানুর রহমান বলেন, “পুলিশ সতর্ক অবস্থায় থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে।”

এদিকে মিরপুরের কালশী এলাকায় রাস্তায় অবস্থান নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিকরা।

২২ তলা গার্মেন্টসের সামনে তাদের বিক্ষোভের কারণে কালশী এলাকায় রাস্তার একদিকে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বলে পুলিশের কাফরুল জোনের সহকারী কমিশনার সৈয়দ মামুন মোস্তফা জানান।

ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন দাবিতে মঙ্গলবার মিরপুরের কালশীতে ২২ তলা গার্মেন্টসের সামনের রাস্তায় বিক্ষোভ করে পোশাক শ্রমিকরা। ছবি: আসিফ মাহমুদ অভি

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, রোকেয়া সরণি এবং পল্লবী এলাকাতেও বিভিন্ন গার্মেন্টের কর্মীরা বিচ্ছিন্নভাবে রাস্তায় এসে বিক্ষোভ করছে। ফলে যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।

সরকার ঘোষিত কাঠামো পর্যালোচনা করে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি ও বাস্তবায়নের দাবিতে গত রোববার থেকে প্রতিদিনই ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশমুখ বিমানবন্দর সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে পোশাক শ্রমিকরা।

তাদের অভিযোগ, সরকার তাদের জন্য যে নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণ করে দিয়েছে, মালিকপক্ষ সে অনুযায়ী বেতন দিচ্ছে না। বরং তাদের নানাভাবে ‘অন্যায়-অবিচারের’ শিকার হতে হচ্ছে।

শ্রমিকদের এই বিক্ষোভের কারণে রোববার সকাল ৯টা থেকে পাঁচ ঘণ্টা বিমানবন্দর থেকে উত্তরা আজমপুর পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। সোমবারও তারা পাঁচ ঘণ্টা গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়ক আটকে বিক্ষোভ দেখায়। বিমানবন্দরের সামনের চত্বরসংলগ্ন রাস্তায় এনা পরিবহনের একটি বাস ভাংচুরের পর তাতে আগুন দেয় তারা।