বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “এ ধরনের ঘটনা অবশ্যই নিন্দনীয় এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ব্যাপারে সরকার কঠোর অবস্থানে আছে। অপরাধী যে-ই হোক শাস্তি তাকে পেতেই হবে।”
গত রোববার একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার মধ্যবাগ্যা গ্রামের এক নারীকে (৪০) তার বাড়িতে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নারী বলেছেন, ভোটকেন্দ্রে নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার জেরে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা এ ঘটনার সঙ্গে দলীয় সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এ ঘটনায় তার স্বামী থানায় যে মামলা দায়ের করেছেন, তাতে নয়জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে অন্যতম সন্দেহভাজন সোহেলসহ তিনজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আসামিরা তার বসতঘর ভাংচুর করে, ঘরে ঢুকে বাদীকে পিটিয়ে আহত করে এবং সন্তানসহ তাকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণ করে।
সচিবালয়ে ভারতের হাই কমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় সুবর্ণচরের এই ঘটনা নিয়ে কথা বলেন নোয়াখালীর আরেক আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত ওবায়দুল কাদের।
“এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত হোক কেউ পার পাবে না, আমি এ ব্যাপারে নেত্রী প্রধানমন্ত্রীর মনোভাব আমি জানি।”
বিষয়টি নিয়ে এরইমধ্যে পুলিশের মহাপরিদর্শকের সঙ্গে কথা হয়েছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, “সেনাবাহিনী ওই অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারাও সিরিয়াসলি বিষয়টি দেখছেন এবং প্রশাসনও তৎপর।”
এদিকে এ ঘটনা খতিয়ে দেখতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের দুটি তদন্ত দল বুধবার নোয়াখালীতে গেছে।
মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত দলের প্রধান আল-মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, ওই নারী ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন তারা। মেডিকেল প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর কমিশনে তদন্ত প্রতিবেদন দেবেন।
‘ভিকটিমকে’ আইনি সহযোগিতা দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।