মঙ্গলবার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, “আগামী ৩ জানুয়ারি সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন। তার আগেই নির্বাচন কমিশনের গেজেট হবে।”
দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯৯টিতে গত রোববার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়, গোলযোগের কারণে একটি আসন স্থগিত রেখে সেই রাতেই ২৯৮টি আসনের ফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
এর মধ্যে ২৫৯টি আসনে জয় পেয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীরা। আর জোটগতভাবে তাদের আসন সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৮টি। এই নিরঙ্কুশ জয়ে টানা তৃতীয়বারের মত সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ।
এর বিপরীতে বিএনপিকে নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভরাডুবি হয়েছে। তাদের ধানের শীষের প্রার্থীরা মাত্র সাতটি আসনে জয়ী হতে পেরেছে।
কার কত আসন
মহাজোট | ঐক্যফ্রন্ট | স্বতন্ত্র |
আওয়ামী লীগ ২৫৯টি, জাতীয় পার্টি ২০টি, ওয়ার্কার্স পার্টি ৩টি, জাসদ ২টি, বিকল্প ধারা ২টি, তরীকত ফেডারেশন ১টি, জাতীয় পার্টি (জেপি) ১টি | বিএনপি ৫টি গণফোরাম ২টি | স্বতন্ত্র ৩টি |
ভোটে বাধা দেওয়া, এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া এবং কারচুপির অভিযোগ তুলে বিএনপি-জামায়াত জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্তত ৩১ জন প্রার্থী রোববার ভোট চলাকালেই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
ভোটগ্রহণ শেষে রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে তা বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবি জানান।
ওই দাবি নাকচ করে সিইসি কে এম নূরুল হুদা ভোটের পরদিন সোমবার এক ব্রিফিংয়ে বলেন, আর নতুন করে নির্বাচনের সুযোগ নেই। ঐক্যফ্রন্ট লিখিত অভিযোগ দিলেও গেজেট প্রকাশের ক্ষেত্রে তা প্রতিবন্ধকতা হবে না।
রোববারের নির্বাচনে ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, জনগণ যেভাবে ভোট দিয়েছে, সেভাবেই ভোট হয়েছে।
“আমরা নির্বাচন কমিশন সন্তুষ্ট। আমরা অতৃপ্ত না। গণমাধ্যমের তথ্য ও দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের তথ্য মতে ভোটের গ্রহণযোগ্যতাও রয়েছে; অনিয়মের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি।”