দীপন হত্যা মামলার অভিযোগপত্র যাচ্ছে সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে

প্রকাশক ফয়সাল আরেফীন দীপন হত্যা মামলার অভিযোগপত্র আমলে নেওয়াসহ বিচারের জন্য ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইবুনালে স্থানান্তরের আদেশ দিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Dec 2018, 01:01 PM
Updated : 18 Dec 2018, 03:30 PM

পুলিশের সংশ্লিষ্ট সাধারণ নিবন্ধন কমর্কর্তা এস আই মাহমুদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর আদালতের হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারি অভিযোগপত্রটি ‘দেখিলাম’ বলে স্বাক্ষর করে মামলাটি বিচারের জন্য বদলির আদেশ দেন।

গত ১৫ নভেম্বর একই আদালতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) আট সদস্যকে অভিযুক্ত করে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি দক্ষিণের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান।

তিন বছর ধরে তদন্ত চালানোর পর প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যামামলার অভিযোগপত্র চূড়ান্ত করে পুলিশ, যাতে আসামি করা হয় সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ আটজনকে। জিয়াসহ যাদের নাম তদন্ত প্রতিবেদনে থাকছে, তারা সবাই নিষিদ্ধ আনসার আল ইসলামের সদস্য।

অভিযোগপত্রে ১১ জনকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

অভিযুক্তরা হলেন -  সাংগঠনিক নাম সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান ওরফে মইনুল হাসান শামীম (২৪), সাংগঠনিক নাম আ. সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাধ ওরফে মো. আ. সবুর (২৩), সাংগঠনিক নাম জামিল ওরফে রিফাত ওরফে ফাহিম ওরফে জিসান ওরফে খাইরুল ইসলাম (২৪),  সাংগঠনিক নাম সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব ওরফে মো. আবু সিদ্দিক সোহেল (৩৪), সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার ওরফে মো. মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (২৫), সাংগঠনিক নাম জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের ওরফে মো. শেখ আব্দুল্লাহ (২৭),সাংগঠনিক নাম সাগর ওরফে ইশতিয়াক ওরফে বড় ভাই ওরফে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর বলে কথিত সৈয়দ জিয়াউল হক (৫০) এবং সাংগঠনিক নাম আবির ওরফে আদনান ওরফে আব্দুল্লাহ ওরফে আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব (২৮)।

অভিযুক্তদের মধ্যে ছয় জনকে গোয়েন্দা বিভাগ গ্রেফতার করেছে এবং তারা প্রত্যেকেই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এ মামলায় পলাতক দুজন হলেন- সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।

২০১৫ সালে বাংলা একাডেমির একুশে বইমেলা চলার সময়  মুক্তমনা লেখক-ব্লগার অভিজিৎ রায়কে হত্যার কয়েক মাস ব্যবধানে ৩১ অক্টোবর বিকালে ঢাকার শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

সেদিন বিকেলে তার স্ত্রী রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় তার স্ত্রী ডা. রাজিয়া রহমান অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।