গুলশান হামলা: আরও দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ

গুলশান হামলার ঘটনায় হলি আর্টিজান বেকারির কর্মী মুন্না দেওয়ান এবং আরিফ মো. শাওনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Dec 2018, 03:42 PM
Updated : 17 Dec 2018, 03:42 PM

ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান সোমবার তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আগামী ২৩ ডিসেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ রেখেছেন।

সোমবার সাক্ষ্য দেওয়া দুই জনের মধ্যে মুন্না দেওয়ান ছিলেন ওই বেকারির পিজা বানানোর দায়িত্বে।আর শাওন কফির বিষয়টি দেখতেন। তাদের দুজনকে নিয়ে মোট ছয়জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হল।

এর আগে মামলার বাদী গুলশান থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) রিপন কুমার দাস, হলি আর্টিজানের বাবুর্চি সমীর বাড়ৈ, নিহত চার জাপানির গাড়িচালক আব্দুর রাজ্জাক ও নিরাপত্তাকর্মী নূর আলম এ আদালতে সাক্ষ্য দেন।

মামলার আসামিদের মধ্যে নব্য জেএমবির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান ও হাদিসুর রহমান সাগর আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বাকি দুই আসামি শহীদুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপনকে পলাতক দেখিয়ে আলোচিত এ মামলার বিচার চলছে।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিজান বেকারিতে পাঁচ তরুণের সরাসরি হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে জবাই ও গুলি করে হত্যা করা হয়।

পরদিন কমান্ডো অভিযানে নিহত হন হামলাকারী পাঁচ তরুণ - রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাজ ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।

দুই বছরের বেশি সময় ধরে তদন্তের পর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির গত ২৩ জুলাই হামলায় জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করে তাদের মধ্যে জীবিত আট জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

‘চিহ্নিত’ বাকি ১৩ জন নজিরবিহীন ওই হামলার পর বিভিন্ন অভিযানে নিহত হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, নব্য জেএমবির জঙ্গিরা ছয় মাস ধরে পরিকল্পনা করে ওই হামলা চালিয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, দেশকে ‘অস্থিতিশীল’ করা, বাংলাদেশকে একটি ‘জঙ্গি রাষ্ট্র’ বানানো।

আসামিদের মধ্যে জীবিত আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে গত ২৬ নভেম্বর আলোচিত এ মামলার বিচার শুরুর নির্দেশ দেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মুজিবুর রহমান। সে অনুযায়ী ৩ ডিসেম্বর শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ।