নিহত এ কে মামুনুর রশিদ (২৭ ) পরিবার নিয়ে পশ্চিম মালিবাগের সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেছনে ‘জি এম প্লাজা’ নামের একটি ভবনের পাঁচতলায় ভাড়া থাকতেন।
শুক্রবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে ওই ভবনেরই পাঁচতলা থেকে সিঁড়ির ফাঁকা জায়গা দিয়ে রশিদকে ফেলে দেওয়া হয় বলে তার বড় ভাই মর্তুজা আলী রনির ভাষ্য।
গুরুতর আহত অবস্থায় রশিদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকালে তার মৃত্যু হয়।
রনি বলেন, পশ্চিম মালিবাগের ওই বাসায় স্ত্রী রুবিনা ও এক সন্তানকে নিয়ে থাকতেন রশিদ। বাসায়ই ক্রেস্টসহ বিভিন্ন সামগ্রী বানিয়ে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করতেন তিনি।
তিনি বলেন, ব্যবসার সুবাদে ফরহাদ, আসাদ, ফরিদ, সুমন ও তাজুলের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়। ব্যবসায়িক লেনদেনও হয়।কিন্তু লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিরোধের জের ধরে শুক্রবার তারা বাসায় ঢুকে তাকে ও রশিদকে মারধর করতে শুরু করে।
এক পর্যায়ে পাঁচতলা থেকে সিঁড়ির ফাঁকা জায়গা দিয়ে রশিদকে ‘নিচে ফেলে দেওয়া হয়’ বলে অভিযোগ করেন রনি।
এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে জানিয়ে পুলিশের রমনা জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার এহসানুল ফেরদাউস বলেন, “ব্যবসায়িক বিরোধ রয়েছে। আজ পাঁচজন ওই বাসায়ও গেছে। তবে কীভাবে পড়ে রশিদ মারা গেল, তা পুলিশ তদন্ত করছে।”