বৃহস্পতিবার ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে এই গোলটেবিলে বক্তারা গণমাধ্যমের দায়িত্বশীল ভূমিকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এই বিষয়ে জোর দেন।
‘সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এই গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, “রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েই বাংলাদেশে উগ্রবাদী গোষ্ঠীর উত্থান হয়। তবে জনগণ সবসময়ই উগ্রবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার। প্রতিটি দলের নির্বাচনী ইশতেহারে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দলের অবস্থান সুনির্দিষ্ট করা উচিত।”
বৈঠকের সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সংবাদপত্র কী প্রকাশ করবে বা করবে না বা কতটুকু বিস্তৃতভাবে প্রকাশ করবে, তা নিয়ে সব সময়ই বিতর্ক রয়েছে। তবে সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতা যাতে ক্ষুন্ন না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্টদের খেয়াল রাখতে হবে।
ইউএসএআইডি’র সহযোগিতায় গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান ‘সমষ্টি’ এই গোলটেবিলের আয়োজন করে।
সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ড. গোলাম রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. রফিকুজ্জামান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি কলিম সারোয়ার, ইউএসএআইডির ডেমোক্রেসি, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড গভার্নেন্স ডিরেক্টর র্যান্ডল ওলসন।
অনুষ্ঠানে ‘সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধ: গণমাধ্যম সহায়িকা’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।