ভোটের উত্তাপে বাড়ছে সংঘাত, নিহত ২

জাতীয় নির্বাচনের প্রচার শুরুর দ্বিতীয় দিনে সহিংসতায় নোয়াখালী ও ফরিদপুরে ক্ষমতাসীন দলের দুজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি প্রায় ডজনখানেক জেলায় মারামারি-ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Dec 2018, 06:04 PM
Updated : 11 Dec 2018, 06:30 PM

মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি জেলায় হামলার মুখে পড়েছেন বিএনপির প্রার্থীরা, গাড়িতে হামলার পাশাপাশি ভাংচুর হয়েছে একজনের বাড়িও।

নিজের নির্বাচনী এলাকা ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলা হয়।

নোয়াখালীর কবিরহাটে আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলায় নির্বাচনী পথসভা পণ্ড হওয়ার অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ।

ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, নড়াইল, নরসিংদী, ময়মনসিংহ, নাটোর ও সিরাজগঞ্জে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নাটোর সদর উপজেলার একটি এলাকায় বিএনপির কর্মীদের মিলাদের খিচুড়ি লুটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘাত এড়াতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সিইসি কে এম নূরুল হুদা।

তিনি বলেছেন, “আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে যে এই পরিবেশ যেন উত্তপ্ত না হয়। উত্তপ্ত হয়ে নির্বাচনী পরিবেশ যেন ব্যাহত না হয়, ব্যাঘাত না ঘটে।”

নোয়াখালীতে যুবলীগ নেতা খুন

সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফকে (২৪) মাথা থেঁতলে ও গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

সুধারাম থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নুরু পাটোয়ারীহাটে বিএনপি একটি বৈঠক করে। বৈঠক শেষে তারা একটি মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন হানিফ ও আরেক জন।

“তখন বিএনপির মিছিলকারীরা প্রথমে হানিফের উপর মরিচের গুঁড়া ছিটায় এবং পরে ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দিয়ে শটগান থেকে গুলি করে।”

হানিফের মাথা থেঁতলানো এবং তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছররা গুলি রয়েছে বলে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিজ জানিয়েছেন।

নিহত হানিফের স্বজনের আহাজারি

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সিহাব উদ্দিন শাহীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই এলাকার বিএনপি ও জামায়াতের লোকজন বিভিন্ন সময় একাধিকবার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে।

“তারা এওজবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে হত্যারও চেষ্টা করেছে। সেটাতে ব্যর্থ হয়ে হানিফকে হত্যা করেছে।”

অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের আজ কোনো কর্মসূচি ছিল না। তারা আমাদেরকে কোনো কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছে না। এখন নিজেরা নিজেরা ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের উপর দোষ চাপাচ্ছে।” 

জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “নির্বাচনী পরিবেশ অশান্ত ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য বিএনপি এই হামলা চালিয়েছে।”

মওদুদের পথসভা পণ্ডের অভিযোগ

নোয়াখালীর কবিরহাটে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। উভয় পক্ষ দাবি করছে, তাদের অনেক কর্মী আহত হয়েছেন। তবে পুলিশ বলছে, শুধু ছাত্রলীগের দুইজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কবিরহাট জিরো পয়েন্ট এলাকায় উভয় পক্ষ পথসভার আয়োজন করলে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

কবিরহাট থারার ওসি মির্জা হাসান বলেন, জিরো পয়েন্টের উত্তরে বিএনপি ও পশ্চিমে যুবলীগ পথসভা আহ্বান করেছিল।

“উভয় পক্ষ একই সময় মিছিল নিয়ে বাজারে গেলে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে খবর নিয়ে জানা যায়, শরীফ ও শাহীন নামে ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।”

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এই আসনের বিএনপি প্রার্থী মওদুদ আহমদ অভিযোগ করে বলেন, “দলীয় নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সভাস্থলে আসার সময় যুবলীগ-ছাত্রলীগ কর্মীরা অতর্কিতে হামলা চালায়।

“এতে আমার অর্ধশত নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।”

তবে কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল আমিন রুমি পাল্টা অভিযোগ করেছেন।

তিনি বলেন, “বিএনপির লোকজন পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. ইসমাইলের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। তাকে তারা পিটিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসামাত্র তাদের ওপরও হামলা চালায় বিএনপি কর্মীরা।

“এতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে মো. ইসমাইল, আবদুল জলিল, শরীফ ও শাহীনসহ পাঁচজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।”

ফরিদপুরে আ. লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা

ফরিদপুরে ভোট নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বিএনপিকর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরেক আওয়ামী লীগ নেতা।

মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের গোয়ালডাঙ্গি এলাকায় নিহত ইউসুফ আল মামুন (৪০) ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশররাফ হোসেনের কর্মী এবং নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক।

নিহত ইউসুফ আল মামুন

আহত স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি লালন ফকিরকে সদর হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা আফসার উদ্দিন বলেন, রাত সাড়ে ৮টার সময় নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের গোলডাঙ্গা এলাকার একটি চায়ের দোকানে আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফের সঙ্গে স্থানীয় বিএনপির সমর্থক মজিদ ও আজিজের নির্বাচন প্রসঙ্গে ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।

“মজিদ শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করেন। এ সময় ইউসুফ তার প্রতিবাদ করলে সে ইউসুফকে কিল ঘুষি মারে। পরে দোকানের ঝাপের লাঠি দিয়ে আঘাত করলে সে মাটিতে পড়ে যায়।”

পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ইউসুফের মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি।

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মৃধা অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা বিএনপির প্রার্থী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের সমর্থকর। শাস্তিপূর্ণ নির্বাচনকে অশান্ত করার জন্যই এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

ঠাকুরগাঁওয়ে ফখরুলের গাড়িবহরে হামলা

বেলা ১২টার দিকে সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের দানারহাট এলাকায় ফখরুলের নির্বাচনী প্রচারের গাড়িবহরে ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করে মির্জা ফখরুল বলেন, “নির্বাচনী প্রচারণা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ায় সকালে আমার নির্বাচনী এলাকা ঠাকুরগাঁওয়ে এসেছিলাম। দানারহাট এলাকায় নির্বাচনী গাড়িবহর নিয়ে যাওয়ার সময় চিহ্নিত আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এতে গাড়িগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”

সেখানে দুই-তিনটা গাড়ি ভাঙার খবর পেয়েছেন বলে জানালেও কারা কাদের গাড়ি ভেঙেছে তা বলেননি সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান।

অন্যদিকে ফখরুলের অভিযোগ অস্বীকার করে বেগুনবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বনি আমিন বলেন, “আওয়ামী লীগের লোকজন ভাংচুর করেনি। ছাত্রদলসহ বিএনপিরই কিছু লোক হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগের ওপর দায় চাপাচ্ছে।”

ঠাকুরগাঁও-১ আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনসহ আরও দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

শাহজাদপুরে বিএনপি প্রার্থীর বাড়িতে হামলা

প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই সিরাজগঞ্জ-৬ আসন শাহজাদপুরের রাজনীতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ-বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় দলের অন্তত ১৫জন আহত,  বিএনপি প্রার্থীর বাড়িতে ভাংচুর এবং আওয়ামী লীগ সমর্থকদের তিনটি মটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

এজন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পরস্পরকে দোষারোপ করছে। বিএনপি প্রার্থী ড. এম.এ মুহিত জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মুহিত বলেন, মঙ্গলবার সকালে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ ও তার বড় ভাই উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে বসেছিলেন। ওই সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মটরসাইকেলের বহর নিয়ে সেখানে গিয়ে দুই ভাইকে মারপিট করে। এর কিছুক্ষণ পরই মটরসাইকেলের বহরটি তার শক্তিপুরের বাড়িতে হামলা-ভাংচুর চালায়।

ওই সময় সেখানে উপস্থিত বিএনপি নেতাকর্মীরা বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে শাহজাদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম শাহু বলেন, “আমাদের একটি মিছিল এম এ মুহিতের বাড়ির সামনে দিয়ে যাবার সময় বাড়ির ভেতর থেকে গালিগালাজ ও ঢিল ছোঁড়ে। প্রতিবাদ করায় বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা চালায় এবং মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে আমাদের ৬-৭জন আহত হয়েছে।”

শাহজাদপুর থানার ওসি খাজা গোলাম কিবরিয়া বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগে শাহজাদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিব হোসেনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপি নেতা সাবেক মেয়র নজরুল ইসলামকে নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করতে নিষেধ করা ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেন।

তার এই অভিযোগ মিথ্যা বলে নাকচ করেছেন ওসি গোলাম কিবরিয়া।

মুক্তাগাছায় বিএনপি প্রার্থীর গাড়ি ভাংচুর

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় বিএনপির প্রার্থী আলহাজ্ব জাকির হোসেন বাবলুর গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়েছে। অন্যদিকে ফুলপুরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় চার-পাঁচটি মোটরসাইকেল ভাংচুর এবং অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।

বাবলু বিকাল ৫টার দিকে স্থানীয় সত্রাশিয়া বাজারে গেলে সেখানে তার গাড়িবহরে হামলা হয়।

এ বিষয়ে এই বিএনপি নেতা বলেন, “আওয়ামী লীগ প্রার্থী কে এম খালিদ বাবুর সমর্থকরা আমার গাড়িবহরে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে। এতে আমার পাজেরো জিপের ক্লাস ভেঙ্গে যায়। অল্পের জন্য আমি রক্ষা পাই। এছাড়া বহরের মধ্যে চার-পাঁচটি মোটরসাইকেল ভেঙে ফেলে আওয়ামী লীগের লোকজন। এ ঘটনায় আমার ১০ সমর্থক আহত হয়।”

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ময়মনসিংহ-৫ মুক্তাগাছা আসনের নৌকার প্রার্থী কে এম খালিদ বাবু বলেন, “নির্বাচন বিতর্কিত করার জন্যই ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ্ব জাকির হোসেন বাবলু অপপ্রচার চালাচ্ছে।”

এদিকে বিকালে ফুলপুর বাসন্ট্যান্ড এলাকায় বিএনপি প্রার্থী শাহ্ শহীদ সারোয়ারের সমর্থকরা মিছিল বের করলে একদল ছাত্রলীগকর্মী তাদের ধাওয়া করে। পরে বিএনপি সমর্থকরা থানা রোডে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়ে তাদের উপর হামলা করতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।

এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ২০ জনের মতো আহত হয়। আহতদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ময়মনসিংহ-২ ফুলপুর আসনের ধানের শীষের প্রার্থী শাহ্ শহীদ সারোয়ার বলেন, “আমি মনোনয়ন পাওয়ায় নেতাকর্মীরা বিকালে উল্লাস করলে তাতে আওয়ামী লীগের লোকজন আমাদের উপর ধাওয়া করে। পরে আমাদের কিছু লোক তাদের উপর ধাওয়া করলে আওয়ামী লীগ এমপি প্রার্থীর সমর্থকরা লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে বেশ কয়েকজনকে আহত করে।”

অন্যদিকে নৌকার প্রার্থী শরীফ আহম্মেদ বলেন, “সারোয়ার হোসেনের লোকজনই আমাদের সমর্থকদের উপর হামলা করেছে। এ নিয়ে আমরা প্রতিবাদ সভারও আয়োজন করেছি “

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফুলপুর থানার ওসি বদরুল আলম বলেন, “নির্বাচনী উত্তেজনায় দুই পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। কোনো ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেনি।”

নাটোরে লুট হল মিলাদের তবারক

সদর ও সিংড়া উপজেলার কয়েকটি স্থানে আওয়ামী লীগ কর্মীদের হামলায় বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ চারজন আহত হয়েছেন। এছাড়া কেন্দ্র কমিটি গঠনের সভা পণ্ড, নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর, পোস্টার পোড়ানো ও মিলাদ মাহফিলের তবারক লুটের ঘটনা ঘটেছে।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক সন্ধ্যায় বলেন, বিকেল ৫টার দিকে সদর উপজেলার হয়বতপুর এলাকায় বিএনপি নেতা কর্মীরা নির্বাচনী কেন্দ্র কমিটি গঠনের সভা করছিলেন। এ সময় খোলাবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমানের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন তাদের ওপর হামলা করে। এতে সভা পণ্ড হয়ে যায়। হামলাকারীদের মারধরে নজরুল ইসলাম ও আবুল খায়ের নামে তার দুই কর্মী আহত হন। সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচেন খোলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম। তবে সেখান থেকে তিনি হয়বতপুর বাজারে এলে হামলাকারীরা আবারও তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কুপিয়ে আহত করে। স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার ছাতনী ইউনিয়নের তেলকুপি মাদ্রাসা থেকে দোয়া মাহফিলের জন্য আনা খিচুড়ি লুট হয়েছে। হাই কোর্টের রায়ে বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য বাবর আলী ও শাহ আলম এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছিলেন।

শাহ আলম বলেন, তারা মিলাদের মুসল্লিদের জন্য খিচুড়ি পাক করেছিলেন। নৌকার কর্মীরা এসে হাঁড়িসহ সমস্ত তবারক নিয়ে গেছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোর্তুজা বাবলু বলেন, “বিএনপির লোকজন নিজেরাই এসব ঘটনা ঘটিয়ে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।”

এদিকে সিংড়া উপজেলায় আবারও আওয়ামী লীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর ও তার পোস্টার পোড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার রাতে উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নের ভাগনাগরকান্দি গ্রামে বিএনপি প্রার্থীর পোস্টার পুড়ানোর ঘটনা ঘটে। তবে কে বা কারা এটা করেছে, তা কেউ বলতে পারেননি। 

ওই দিন সন্ধ্যায় সুকাশ ইউনিয়নের জয়কুঁড়ি বাজারে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর এবং আমিনুল ইসলাম নামে যুবদলের এক নেতাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ করেছেন বিএনপি প্রার্থী দাউদার মাহমুদ।

 এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুর রহমান শেখ বলেন, “বিএনপির নেতারা নিজেরাই পোস্টার পুড়িয়ে আমাদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। বিএনপি প্রার্থী উপজেলাজুড়ে তার পোষ্টার লাগিয়েছেন, কোথাও কোনো বাধা বা হুমকি দেয়া হয়নি।”

ঝিনাইদহে বিএনপি প্রার্থীর গাড়ি বহরে হামলা

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ-১ আসনে (শৈলকুপা উপজেলা) শেখপাড়া বাজারে নির্বাচনী প্রচার চলাকালে বিএনপির প্রার্থী  মো. আসাদুজ্জামানের গাড়িবহরে হামলা করে সন্ত্রাসীরা।

আসাদুজ্জামান বলেন, সন্ধ্যায় শেখপাড়া বাজারে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছিলেন। গাড়িগুলো রাস্তার পাশে পার্কিং করে রাখা ছিল। এ সময় আওয়ামী লীগের লোকজন হামলা করে। তারা তিনটি মাইক্রোবাস, তিনটি গাড়ি ও ২০- ২২টি মটরসাইকেল ভাংচুর করে।

পরে স্থানীয় বিএনপি কর্মীরা জড়ো হয়ে ধাওয়া করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

চুয়াডাঙ্গায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাংচুর এবং বিএনপির প্রচারগাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। দুই পক্ষই লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন।

 জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খুসতার জামিল বলেন, সোমবার রাত ৯টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা বাজারে আওয়ামী লীগের স্থানীয় অফিসে হামলা করে একদল সন্ত্রাসী। তারা অফিসের চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে চলে যায়।

এদিকে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী শরীফুজ্জামান শরীফ মঙ্গলবার রাত ১১টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন, আলমডাঙ্গার জেহালায় প্রায় দুই-তিনশ ব্যক্তি তার দুটি মাইক্রোবাস ভাংচুর করে। দুটি গাড়ির লুকিং গ্লাস ও সামনে এবং পাশের কাচ ভেঙে দেয় তারা।

আলমডাঙ্গা থানার ওসি আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, দুটি ঘটনা তিনি শুনেছেন। কোনো পক্ষ এখনো পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেননি।

রিটার্নিং কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, দুপক্ষই রিটানিং অফিসার বরাবার লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন। নির্বাচনের যে কোনো অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে আগে থেকেই কমিটি গঠন করা আছে। ওই কমিটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেবে। তার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

গাংনীতে বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাংচুর

মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার সকালের এ হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করছে বিএনপি। তবে আওয়ামী লীগ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।  

বিকালে গাংনী ত্রিমোনী মোড়ে বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মেহেরপুর-২ আসনে বিএনপি প্রার্থী জাভেদ মাসুদ মিল্টন বলেন, সকালে নেতাকর্মীরা যখন বিএনপি অফিসে আসতে থাকেন তখন ৮/১০ জন হঠাৎ অফিসে হামলা হামলা চালায় ও নির্বাচনী তাঁবু ছিড়ে ফেলে।

“বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের মতো আবার ফাঁকা মাঠে জয় পেতে এই কৌশল বেছে নিয়েছে।”

গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হকের সভাপতিত্বে জাভেদ মাসুদ মিল্টন আরও বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন নানাভাবে বিএনপির লোকজনকে হয়রানি করছে।

সোমবার সাহারবাটি এলাকায় তারা বিএনপির প্রচার মাইক ভাংচুর করে ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এ বিষয়ে একই আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, আওয়ামী লীগের কোনো কর্মী বিএনপি অফিসে হামলা চালায়নি। বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে তাদের অফিসে ভাংচুর হয়েছে।

বগুড়ায় বিএনপি প্রার্থীর গাড়িবহরে হামলা

বগুড়া-৫ (ধুনট-শেরপুর) আসনের বিএনপি প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করার খবর এসেছে। পুলিশ হামলার কথা জানলেও হামলাকারী সম্পর্কে কিছু বলতে পারেনি।

ধুনট-শেরপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজীউর রহমান বলেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ধুনট উপজেলা সদরে হামলার এ ঘটনা ঘটে।

“কে বা কারা হামলা চালিয়েছে তা  জানি না।”

তবে গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ অভিযোগ করেন, “আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে।

“উপজেলার রাঙ্গামাটি গ্রামে আওয়ামী লীগ কর্মীদের দ্বারা এক বিএনপি নেতার বাড়িতে অগ্নিসংযোগে ক্ষয়ক্ষতি দেখতে ও নির্বাচনী গণসংযোগে বের হয়েছিলাম। ধুনট বাজারে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে প্রায় ১৫টি মোটরসাইকেল ভাংচুর, চারটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ, চারটি মাইক্রোবাস ও জিপগাড়ি ভাংচুর করেন।”

হামলায় বিএনপির ১২ নেতাকার্মী আহত হয়েছেন বলে তার দাবি। তবে তিনি তাদের নাম-পরিচয় বলেননি। তারা কেমন আহত হয়েছেন, কোথায় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে সে সম্পর্কেও তিনি কিছু বলেননি।

হামলায় ‘আওয়ামী লীগের কারও কোনো সম্পৃক্ততা নে ‘ বলে দাবি করেন ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম।

পুলিশ কর্মকর্তা গাজীউর রহমান বলেন, এখন এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আর কোনো ঘটনা যেন না ঘটে এজন্য তারা তৎপর রয়েছেন।

নড়াইলে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর

নড়াইল-২ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এ জেড এম ড. ফরিদুজ্জামানের (ফরহাদ) লোহাগড়া উপজেলা সদরের নির্বাচনী (ধানের শীষ প্রতীকের) কার্যালয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে ফরিদুজ্জামান তার বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, লোহাগড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলামের নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় তাদের অন্তত চার নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর পূর্বনির্ধারিত কর্মীসভা পণ্ড হয়ে যায়।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আকরামুজ্জামান মিলু, নেওয়াজ আহমেদ ঠাকুর নজরুল, মোহাম্মদ হোসেন মহত, কাজী সুলতানুজ্জমান সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম ফেরদৌস রহমান, সহ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুস সবুর, লোহাগড়া উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালেহা বেগম উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা রাশেদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভাংচুরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জড়িত নয়।

লোহাগড়া থানার ওসি প্রবীর কুমার বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নরসিংদীতে মঈন খানের প্রচারে হামলা

নরসিংদী-২ (পলাশ ও সদরের একাংশ) আসনে বিএনপির প্রার্থী ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের নির্বাচনী প্রচারে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলা আমদিয়া ইউনিয়নের বেলাবো নামক স্থানে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলাকারীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ১০টি মোটরসাইকেল ভাংচুর ও চারটি মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। হামলায় ছাত্রদল ও যুবদলের ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

পলাশ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বলেন, সকালে মঈন খান নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণার জন্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগ দেন। দুপুরে পলাশ উপজেলার চরনগর্দী পাটি অফিসে মতবিনিময় শেষে বিকেলে নির্বাচনী এলাকা সদর উপজেলার আমদিয়া ইউনিয়নে গণসংযোগ করতে যান। তিনি বেলাবো নামক বাজারে পৌঁছালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছাও মিয়ার নেতৃত্বে যুবলীগ, ছাত্রলীগের ৪০ থেকে ৫০ জন নেতাকর্মী লাঠিসোঁটা নিয়ে গাড়িবহরে হামলা চালায়।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে আওয়ামী লীগ নেতা ছাও মিয়ার মোবাইলে ফোন করলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।

তবে আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন ভূইয়া রিপন বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে নৌকার পক্ষে মিছিল করি। অপরদিকে বিএনপির প্রার্থী মঈন খান মোটরসাইকেল নিয়ে সশস্ত্র মিছিল করেছে। মিছিলটি বেলাবো বাজারে পৌঁছালে স্থানীয় লোকজন তাদের ধাওয়া দেয়।”

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহারিয়ার আলম পলাশ বলেন, হামলার ঘটনাটি তার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।